এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > হালিশহরের পর কি এই পৌরসভাও দখল করতে চলেছে বিজেপি! জেনে নিন বিস্তারিত

হালিশহরের পর কি এই পৌরসভাও দখল করতে চলেছে বিজেপি! জেনে নিন বিস্তারিত

লোকসভার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই স্লোগান বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। উল্টে 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তৃণমূলকে। অন্যদিকে 18 টা আসন দখল করে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপি ভালো ফল করার পরই দিকে দিকে শাসক দলের একাধিক বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন।

কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গড়ে একাধিক পৌরসভা গেরুয়া শিবিরের দখলে চলে আসে। আর তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যে সমস্ত কাউন্সিলর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা ফের তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। আর যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছে বিজেপি।

বস্তুত, হালিশহরের পর এবার কাঁচরাপাড়ার 5 কাউন্সিলার ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন। জানা যায়, 24 আসন বিশিষ্ট এই কাঁচরাপাড়া পৌরসভার সবকটি আসনই তৃণমূলের দখলে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর 20 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বাকি চারজন তৃণমূল থেকে গিয়েছিলেন। তবে বুধবার দুপুরে বিজেপিতে যাওয়া কুড়িজন কাউন্সিলরের মধ্যে পাঁচজন কাউন্সিলার তৃণমূলে আসেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভায় নিয়ে গিয়ে কাঁচরাপাড়ার এই কাউন্সিলরদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্ব মনে করেছিলেন, 13 থেকে 14 জন কাউন্সিলর ফিরে আসবেন। কিন্তু বাস্তবে 5 জন কাউন্সিলর ফিরে আসায় এই দলবদল প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। তবে ভবিষ্যতে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার বিজেপিতে যাওয়া সমস্ত কাউন্সিলারই তৃণমূলে ফিরে আসবেন বলে দাবি করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে কাঁচরাপাড়া নিয়ে এত জল্পনা চললেও কাঁচরাপাড়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

এই পৌরসভা বিজেপির দখলেই থাকবে বলে জানিয়ে দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আর এদিন সেখানকার 5 কাউন্সিলর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে সেই মুকুল রায়কে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। নাম না করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “আসলে এই সবই মোটা ভাইয়ের কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা। সবে পাঁচ জন এসেছে। ভবিষ্যতে আরও কাউন্সিলররা তৃণমূলে ফিরে আসবেন। কাঁচরাপাড়া পৌরসভা তৃণমূলই দখল করবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পর যেভাবে রাজ্যে দলবদল শুরু হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আবার যেভাবে বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন, তাতে বিভিন্ন পৌরসভায় শুধু দলবদল চলছে। কিন্তু পরিষেবার নামমাত্র কিছু নেই। তাই যে কাউন্সিলর যে দলই করুক না কেন, সাধারণ মানুষ চায়, যবনিকা পতন হোক। পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে প্রদান করা হোক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!