তৃণমূলে রদবদল: পদ দেওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যেই ছেঁটে ফেলা হল হেভিওয়েট মন্ত্রীকে! তীব্র শোরগোল কলকাতা রাজ্য July 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গুরু বলে অভিহিত করা হত তাঁকে। অনেকে বলতেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাবশিষ্যা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে নানা সময় নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। আর এবার সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভবিষ্যত নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠল শাসকদলের অন্দরমহলে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠকে দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার এটাকেই “ভুল” বলে সুব্রতবাবুর জায়গায় মনীশ গুপ্তের নাম ঘোষনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর প্রথমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেও পরে তাকে সরিয়ে দেওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। তাহলে কি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর ক্ষিপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর তাই প্রথমে তার নাম ঘোষণা করেও, পরবর্তীতে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? অনেকে বলছেন, এই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন বড় বৈচিত্র্যপূর্ণ। একসময় কংগ্রেসে থাকলেও, পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস, আবার কংগ্রেস করে পরবর্তীতে আবার তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভয়াবহ দুর্যোগের পর তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী সাধন পান্ডে যখন ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন, ঠিক সেইসময় সুব্রতবাবুর একটি মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে দেয় ঘাসফুল শিবিরকে। আর এমতাবস্তায় যখন বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠক থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হল, তখন সুব্রতবাবুর গুরুত্ব দলে অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু এক দিনের মাথাতেই আবার তাঁকে তাঁর পথ থেকে সরিয়ে দিয়ে “ভুল করে তা ঘোষণা করা হয়েছিল” বলে জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার জায়গায় আনা হল রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মণীশ গুপ্তকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তৃণমূলের মত রাজনৈতিক দলে কি করে এত বড় ভুল হয়? তাহলে কি প্রথমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূল বিতর্কিত মন্তব্যের কথা মনে করে তার ডানা ছেঁটে দিল? আর তাই পরবর্তীতে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সুব্রতবাবুকে শিক্ষা দিতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিল শাসকদল? তবে রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদকে যেভাবে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে সুব্রতবাবু রীতিমত অপমানিত বোধ করবেন বলেই মনে করছেন অনেকে। ফলে এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবার কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন কিনা, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -