এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিকে কোনঠাসা করতে এবার একযোগে আক্রমণ তৃণমূল সিপিআইএম এর, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির!

বিজেপিকে কোনঠাসা করতে এবার একযোগে আক্রমণ তৃণমূল সিপিআইএম এর, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলাফল করার পর তৃণমূল যেমন সিপিএমকে দায়ী করতে শুরু করেছিল, ঠিক তেমনই সিপিএম এই ব্যাপারে দায়ী করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দুজনেই প্রমাণ করতে মরিয়া ছিল যে, তাদের ভোট বিজেপির দিকে যাওয়াতেই বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। মাঝে বিজেপিকে আটকাতে সকলের এক হওয়া উচিত বলে তৃণমূল ও সিপিএমের নেতাদের মুখ থেকে নানা বার্তা শোনা গেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে দুর্দিনে কোথাও দেখা যাচ্ছে না বলে একযোগে সরব হতে দেখা গেল সেই তৃনমূল এবং সিপিএমকে। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ভিন্ন মেরুর দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি সাংসদকে কোণঠাসা করতে এভাবে ময়দানে নামায় এখন চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিও।

জানা গেছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন ভার্চুয়াল রালি করছিলেন, তখনই দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। যেখানে লেখা ছিল, “অমিত শাহ, আমার এমপি কোথায়! খুঁজে দাও!” পাশাপাশি এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হতে দেখা যায় সিপিএম নেতৃত্বেককে। একইভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিজেপি সাংসদকে এলাকায় দুর্দিনে দেখা না পাওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। আর একদিকে সিপিএম এবং অন্যদিকে তৃণমূলের এই প্রতিবাদে রীতিমত কোণঠাসা বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “আমাদের বিধায়ক সহ সবাই রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা জানতে চাই আমাদের সাংসদ কোথায়! এই দুঃসময়ে ওই জনপ্রতিনিধি কোথায় গেলেন?” একইভাবে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের পরেই তো বিজেপি সাংসদ হাওয়া। মানুষ তাকে দেখতে পাচ্ছেন না।” যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল এবং সিপিএমের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সাংসদ প্রতিমুহূর্তে খোঁজখবর রাখছেন।” কিন্তু তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেক্ষেত্রে তিনি দুর্দিনে মানুষের পাশে কোথায়? তাকে কেন তার লোকসভা কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে না বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, “আমার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা জানেন, আমি সবসময় তাদের পাশে রয়েছি। বিরোধীরা কি বলছেন, তাতে কিছু যায় আসে না।”

তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি সাংসদকে এলাকায় দেখতে না পাওয়ায় যেভাবে তৃণমূল এবং সিপিএম দুই দল বিজেপির বিরোধিতা করতে শুরু করেছে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, আগামীদিনে এই দুই রাজনৈতিক দলের কাছেই ফ্যাক্টর হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই এখন বিজেপির ভোট কাটতে দুই রাজনৈতিক দল ব্যাপক পরিমাণে পথে নামছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণকে কোথায় নিয়ে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!