নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রধান বক্তা হিসেবে নাম হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের, প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল! কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম January 3, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হবার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিক্ষোভের পাশাপাশি সেই বিক্ষোভকে অশান্তির আগুনে পরিণত করেছে একাংশ। যেখানে প্রথম থেকেই শান্তি স্থাপন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে বিক্ষোভ হয়, তার জন্য আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে যে সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে নাম দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের। যা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা গেছে, আগামী 5 জানুয়ারি বহরমপুরে এই সংগঠনটির রাজ্য কমিটির ডাকা সম্মেলন রয়েছে। যেখানে বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান এবং তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখের। আর উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে যে সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছিল, সেই সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে কেন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কের নাম দেখা গেল! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই দলের এক বিধায়ক এবং এক সাংসদের নাম থাকায় এই ব্যাপারে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাংশের প্রশ্ন, যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছেন, সেই তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কের অশান্তি ছড়ানো সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে নাম থাকায়, তৃণমূলও কি সেই অশান্তিতে জড়িত! তবে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হলেও, তা নিয়ে পাল্টা অস্বস্তি ঢাকতে ময়দানে নামতে দেখা গেছে সেই আবু তাহের এবং নিয়ামত শেখকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “এই সংগঠন আমার অনুমতি না নিয়ে তাদের আমন্ত্রণ পত্র ব্যানার, পোস্টারে আমার নাম ব্যবহার করেছে। বুধবার বিভিন্ন জায়গায় তা দেখে হকচকিয়ে গিয়েছি। এভাবে আমার নাম ব্যবহার করায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ওদের কর্মসূচিতে আমাদের দলের কেউ যাবেন না।” তবে আবু তাহের যে কথাই বলুন না কেন, তিনি নিজে আবু তাহেরের সঙ্গে দলের জেলা অফিসে দেখা করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে জানান এই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হাসিবুল ইসলাম। অন্যদিকে এই সংগঠনের বক্তা হিসেবে নাম জড়িয়ে যাওয়া তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, “নাম ছামা নিয়ে অনুমতি দিয়েছিলাম ঠিকই। তবে দল যখন যেতে নিষেধ করছে, তখন যাব না।” ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, তৃণমূলের এই বিধায়ক এবং সাংসদ জেনে-বুঝেই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার বিজেপি সাঁড়াশি চাপে সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ সংগঠন বলে দাবি করায় এবং তাদের রাজ্য সম্মেলনে এই দুই তৃণমূল নেতার নাম দেখা যাওয়ায়, এখন তৃণমূলের এই দুই নেতা চরম বিপাকে পড়ল। যার ফলে এখন দুই নেতার জন্য চরম অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে গোটা ঘাসফুল শিবিরকে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -