এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > হেনস্থার পর আরও চাঙ্গা ইডি! সাতসকালে মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা, উত্তাল রাজ্য!

হেনস্থার পর আরও চাঙ্গা ইডি! সাতসকালে মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা, উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির ঘটনার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি করে তদন্ত করবে, কিভাবে তাদের আধিকারিকরা নিরাপত্তা পাবে, তা নিয়েই একটা বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল এই পশ্চিমবঙ্গের বুকে। যেখানে তদন্ত করতে গিয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ার একটা চেষ্টা যে এই রাজ্যের শাসক দলের মাথারা সব সময় করার চেষ্টা করছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল বিশেষজ্ঞরা। এমনকি সন্দেশখালির এই ঘটনার পর ইডি আধিকারিকদের বিভিন্ন জায়গায় রেড সেভাবে চোখে পড়েনি। কিন্তু আজ সকালে চোখ খুলতেই সাধারণ মানুষ দেখতে পান ইডির চরম অ্যাকশন। সন্দেশখালির ঘটনার পর ইডি নিজেদের গুটিয়ে গিয়েছে বলে যারা ভেবেছিলেন, তারা কার্যত মূর্খের স্বর্গে বাস করছিলেন। আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর দুটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার বাড়ির গেটে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেশখালির পর এই প্রথম কোনো হেভি ওয়েটের বাড়িতে ইডির পৌঁছে যাওয়া এবং দিনের শেষে কোনো বড় কিছু হচ্ছে কিনা, সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, আজ সাতসকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর দুটি বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সন্দেশখালির মত ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, যাতে কেউ কোনো রকম সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্য বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে হঠাৎ করে দমকল মন্ত্রীর বাড়িতে এই এজেন্সির পৌঁছে যাওয়া নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। বলা বাহুল্য, এর আগেও সুজিত বসুকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে একটি খবর সামনে এসেছিল। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করে নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এবার তার বাড়িতে এজেন্সির পৌঁছে যাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভেবেছিল, ইডির ওপর হামলা করে তদন্তকে বন্ধ করবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা পিছু হটার পাত্র নয়। দেশে আইন কানুন বলে কিছু রয়েছে। তাই যারা দোষ করবে, তাদের জেলে যেতেই হবে। যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন, যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে গ্রেপ্তার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতি আবর্তিত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে। এত বড় ক্ষমতা একজন পাতি তৃণমূল নেতার, যিনি তদন্তকারীদের ওপর হামলা করলেন। আর তারপর থেকে তিনি গায়েব! তাকে নাকি পুলিশ ধরতে পারছে না! অনেকে ভেবেছেন, যারা তৃণমূলপন্থী, যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করছিলেন, তারা ভাবতে শুরু করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা কিছু করার সাহস পাবে না। তারা এবার তাদের তদন্ত বন্ধ করবে। কিন্তু তাদের ভাবনা যে অমূলক, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। একেবারে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিয়ে যে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাতে দিনের শেষে বেশ কিছু তরতাজা খবর উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে সন্দেশখালি যেমন চর্চায় থাকবে, ঠিক তেমনই চর্চায় থাকবে আজকের দিনটা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!