এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হিংসা দমনে কড়া পদক্ষেপ, সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ালেন রাজ্যপাল!

হিংসা দমনে কড়া পদক্ষেপ, সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ালেন রাজ্যপাল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন চোখের সামনে একের পর এক বিভীষিকাময় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও রাজ্যপালের নীরবতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি এই রাজ্যপালের ভূমিকা যে খুব একটা সন্তোষজনক নয় বিরোধীদের কাছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। তিনি কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন না! কেন রাজ্যে একের পর এক ঘটনা ঘটে গেলেও তিনি নীরবতা পালন করেন, শুধুমাত্র এলাকাস্থল ঘুরে দেখেই তিনি চুপচাপ কয়েকটা রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দেন, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানা প্রশ্ন রয়েছে। তবে বর্তমানে রাজ্য পুলিশের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। এই রাজ্যের শাসক দল আর কোনোমতেই পুলিশকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনের সময় কাউকে হেনস্থা করতে পারবে না। তবুও তারা তাদের দলদাস প্রশাসনকে দিয়ে শেষ চেষ্টা করবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেভাবে গোটা দেশের লোকসভা নির্বাচনকে সংগঠিত করতে চাইছে এবং যেভাবে বাংলায় ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা কিন্তু নজিরবিহীন। তবে এতকিছুর পরেও দিনহাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা বাংলার নির্বাচনী অধ্যায় শুরু হওয়ার আগেই রীতিমত কলঙ্কিত করেছে গণতন্ত্রকে বলেই মনে করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কি করনীয়! কেন তিনি চুপ করে আছেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু এবার সেই রাজ্যপাল মুখ খুললেন। তিনি যে কথা বললেন, তাতে অনেকে বলতেই পারেন যে, এরকম কথা তো হামেশাই বলেছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে কি? তাই এবার তার এই বক্তব্যে কারও কিছু এসে যায় না। কিন্তু বর্তমানে যখন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সবটা রয়েছে, তখন রাজ্যে অনিয়ম কিছু হলে যদি এই বক্তব্য অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন সম্মানীয় রাজ্যপাল। আর তাহলে কিন্তু প্রবল চাপ আসতে পারে রাজ্যের শাসকদলের কাছে।

প্রসঙ্গত, দিনহাটায় অশান্তি হওয়ার পর রাজ্যপাল সেই এলাকায় ঘুরে এসেছেন। আর তারপরেই তিনি আজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্য, গণতন্ত্রকে কোনোমতেই ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। সন্দেশখালির সংস্কৃতি রাজ্যের অনেক জায়গাতেই রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, রাজ্যপাল কি এটা বলেই থেমে যাবেন! নাকি তিনি কিছুদিন আগে যে বড় বড় গলায় বলেছিলেন, ভোটের দিন তিনি সকাল থেকে রাস্তায় থাকবেন, সেটা হাতেনাতে করে দেখাবেন? তিনি দিনহাটায় গিয়েছেন, সেখানে অশান্তি হয়েছে, তার উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মত। কিন্তু শুধুমাত্র এলাকা পরিদর্শন করে এলেই তো হবে না। রাজ্যপালের যা কর্তব্য, সেটা তো তাকে পালন করতে হবে। রাজ্যের মানুষ তো এখন অ্যাকশন চাইছে এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই এর আগে সন্দেশখালিতেও রাজ্যপাল গিয়েছিলেন, সেখানেও মা-বোনেরা তাদের হাহাকারের কথা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে বলেছেন। তারপর রাজ্যপাল কি পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আর এসবের মাঝেই রাজ্যপাল সেই সন্দেশখালি সংস্কৃতি রাজ্যের অনেক জায়গাতে রয়েছে বলে যে কথা বললেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যদি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে তা মারাত্মক হতে পারে দুষ্কৃতীদের ক্ষেত্রে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে করেই হোক, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করতে গেলে গণতন্ত্রের হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিতে গেলে একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন যা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার থেকে আরও তাদের সক্রিয় হতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অন্য রাজ্যের মত ভোট হয় না। এখানে ভোটের সময় সন্ত্রাস হয়, পুলিশকে দলদাস হিসেবে ব্যবহার করে এই রাজ্যের সরকার, এই অভিজ্ঞতা রাজ্যের মানুষের রয়েছে। তাই সঠিকভাবে গণতন্ত্রের প্রতিফলন না হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন কোনোদিনই সম্ভব হবে না। তাই একদিকে নির্বাচন কমিশন এবং অন্যদিকে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নির্বাচনের এই সময় দুষ্কৃতীমুক্ত বাংলা গড়তে রাজ্যপালের সঠিক পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুধুমাত্র মুখে বলে নয়, এবার কাজে করে দেখানোর টাইম এসেছে। তাই সেটা হাতেনাতে পালন করে দুষ্কৃতীদের উচিত শিক্ষা দিতে পারেন রাজ্যপাল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!