এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পাটের পর পিয়াজ! “কৃষক বিদ্রোহকে” কাজে লাগিয়ে হুগলিতে বাজিমাতের চেষ্টায় বিজেপি

পাটের পর পিয়াজ! “কৃষক বিদ্রোহকে” কাজে লাগিয়ে হুগলিতে বাজিমাতের চেষ্টায় বিজেপি


ভোটের মরশুমে সাধারণ মানুষেরা যদি কোনো ব্যাপারে অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাহলে সেই ব্যাপারটি তুলে ধরেই রাজ্যের বিরোধী দলেরা শাসকের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে থাকেন। আর ঠিক এই জায়গাতেই এবার রাজ্যের চাষীদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে শাসক দল তৃনমূলকে ব্যাকফুটে ফেলে দিতে চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

কিন্তু যেখানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষীদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছেন বলে দাবি করছেন, সেখানে সেই চাষীদের ঠিক কোন দুরাবস্থার ব্যাপারটি তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি? জানা গেছে, হুগলির বলাগড়ে পাট চাষের লোকসান মেটাতে এবার সেখানে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজের চাষ করলেও কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে সেই পেঁয়াজের বেশ কিছু জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

ফলে জমিতে পেঁয়াজ তোলার পর তা বিক্রি করার জন্য চাষিরা ঠিক মতো লোক পাচ্ছেন না। যার জেরে সেই পেঁয়াজগুলি বৃষ্টিতে পড়ে থাকায় সেখানে পচন ধরতে শুরু করেছে। তাই অবিলম্বে তাদের ফলন করা পেঁয়াজ যাতে সহায়ক মূল্যে কেনা হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই আন্দোলনে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেছে কৃষকরা। আর কৃষকদের এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের বাগে আনতে চাইছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বিগত বছরগুলিতে বলাগড়ের চাষিরা সুখসাগর পেঁয়াজ চাষ করে বিঘা প্রতি 100 থেকে 130 মন পেঁয়াজ পেলেও এবার টানা বৃষ্টির জন্য 10 থেকে 20 মন পর্যন্ত পেয়াজের উৎপাদন কমেছে। ফলে জমিতে প্রবল পরিমাণে জল জমে যাওয়ায় এবং সেখানে পেঁয়াজগুলো থাকায় সেগুলো পচে গেলে তারা কি করে লাভের মুখ দেখবেন তা ভেবে ইতিমধ্যেই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। আর কৃষকদের এহেন চিন্তা এবং ক্ষোভের মাঝেই এবার রাজ্য সরকার যদি আলু সহায়ক মূল্যে কিনতে পারে, তাহলে কৃষকদের দুরাবস্থার কথা মাথায় রেখে কেন তারা পেঁয়াজ সহায়ক মূল্য কিনবে না – তার দাবি সরকারের কাছে কৃষকদের পাশাপাশি জানাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

এদিকে ভোটের মুখে কৃষকদের এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসক দলের ওপর এহেন চাপে কিছুটা হলেও চিন্তায় ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন, “খদ্দেররা না থাকায় চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমরা কৃষি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলছি। বিরোধীরা যতই লাফালাফি করুক, এই ইস্যুটাকে নিয়ে তারা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।”

তবে তৃণমূলের বিধায়ক যাই বলুন না কেন, লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে কৃষকদের ক্ষতিকে তুলে ধরে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে যদি ঠিকমতো প্রচার চালানো হয়, তাহলে কৃষকদের সমর্থন যে সেই বিরোধীদলের দিকেই যাবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!