এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির ঘরে সিঁধ কেটে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে মহা চমকের পথে রাহুল গান্ধী

বিজেপির ঘরে সিঁধ কেটে ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে মহা চমকের পথে রাহুল গান্ধী


সম্পর্কে সমস্ত জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এবার এক হতে চলেছে গান্ধী পরিবার? রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই দানা বাঁধছে। তাই প্রশ্ন উত্তরপ্রদেশে কি এবার চমক দিতে চলেছেন রাহুল গান্ধি? কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির মধ্যে আইডেন্টি ক্রাইসিসে ভুগছে বিজেপি।

সাংসদ বরুণ গান্ধী তার নিদর্শন মিলেছে গত উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে। যেখানে প্রচারে তাঁকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এছাড়াও কদিন আগে সাংসদদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বরুণ গান্ধী। কিন্তু তারপরই একেবারে পিএমও থেকে ফোন করে তাঁকে সাবধান করে দেওয়া হয়। আর এইসব প্রস্তাব তোলার জন্য তাই বরুণের এই অভিমানকে কাজে লাগাতে কি এবার খুড়তুতো ভাইকে ঘরে ফেরানোর কাজে নামতে চাইছেন রাহুল গান্ধী?

বিশেষ সূত্রের খবর, সম্প্রতি পারিবারিক মহলে আলোচনায় বসেন রাহুল প্রিয়াঙ্কা এবং বরুণ। উল্লেখ্য, বরাবরই রাজনীতিতে রাহুলকে বরুনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা গেছে। সেই কারণে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততাও বেশি ছিল। কিন্তু সে দিক থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে তাঁর সম্পর্ক ভালো। কিন্তু রাজনীতিতে চিরশত্রু চির মিত্র বলে কিছু থাকে না। তাই বর্তমানে দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা কাটিয়ে পাশাপাশি আসতে চলেছে দুই ভাই বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাফায়েল, জিএসটি সহ একাধিক ইস্যুতে প্রচার করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সাফল্য অনেকটাই মজবুত করেছে রাহুলের রাজনৈতিক ইমেজকে। পাশাপাশি তিনি নিজেকে মোদির চ্যালেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেও সক্ষম। তাই এখন বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বরুণের কাছে রাহুল গান্ধীর এই রাজনৈতিক আবেদন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক গতিবিধিতে মাথায় রেখে যদি কংগ্রেসে না এসেও পিলিভিত বা সুলতানপুর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চায় বরুণ গান্ধী তাহলে কংগ্রেস তাঁকে সব রকম সহযোগিতা এবং সমর্থন করবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে সবকটি সিটেই কংগ্রেসে লড়বে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ।

তবে বুয়া আর বাবুয়ার রাজনৈতিক জোটকে কোনভাবেই কটাক্ষ করেনি কংগ্রেস। কারণ 2019 সালের নির্বাচনের পর যদি কংগ্রেস সরকার গড়ার মতো অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে পূর্বের সমর্থনকারী দলদের পুশিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন বিষয়। তাই কংগ্রেসের কর্মসূচিতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে 13 টির বেশি বড় সভা রাহুল গান্ধী করলেও সেখানে মূল টার্গেটে থাকবেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এবং তার ব্যর্থতা। বিরোধী সপা এবং বসপা জোটকে কোনো আক্রমন করবেন না কংগ্রেস অধ্যক্ষ।

সম্প্রতি অখিলেশ- মায়াবতীর জোট বার্তায় শোনা গিয়েছে মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অবস্থায় থাকলে তাঁকে সমর্থন যোগাবে অখিলেশের দল। এছাড়াও বিজেপি কর্মীদের “মোদিজী মেরা বুথ সবসে মজবুত” নামক বিজেপির ভিডিও কনফারেন্সকে রীতিমত কটাক্ষ করে অখিলেশ মন্তব্য করেন, “মেরা বুথ সবসে মজবুত এখন পাল্টে “মেরা বুথ হুয়া চকনাচুর” হয়ে গেছে।”

আর এতে করে রীতিমত আতঙ্কিত বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা। বিজেপি নেতা কর্মীরা জোটের শরিক হওয়ার জন্য তলে তলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও মন্তব্য করেছেন অখিলেশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!