এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কি থেকে কিভাবে ছড়াচ্ছে করোনা? আবিষ্কার দুই বাঙালি গবেষকের! স্বীকৃতি মিলল মার্কিন জার্নালে

কি থেকে কিভাবে ছড়াচ্ছে করোনা? আবিষ্কার দুই বাঙালি গবেষকের! স্বীকৃতি মিলল মার্কিন জার্নালে


থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসের। যত দিন যাচ্ছে, ততই তার উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। সকলের কাছে এখন একটাই প্রশ্ন, কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছে করোনা ভাইরাস! যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন গবেষকরাও। অনেকে বলছেন বাদুড় থেকে, আবার অনেকে বলছেন, প্যাঙ্গোলিনের থেকে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তবে নানা মহলে এই নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও, বাদুর থেকেই যে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, এবার তা জানিয়ে দিল ভারতীয় গবেষক দল।

সূত্রের খবর, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় এবং তারই ছাত্র অভিজ্ঞান চৌধুরীর একটি নতুন গবেষণা রিপোর্ট আমেরিকার মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে যে, এই গবেষক দল বাদুর থেকেই যে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, তার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছে। জানা গেছে, রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, করোনা ভাইরাসের মধ্যে স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। যার কারণে এই করোনাভাইরাস অনেকটা মুকুটের মত দেখতে হয়।

মূলত স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমেই ভাইরাসগুলো ফুসফুসের কোষগুলোর পর্দায় অবস্থিত রিসেপটরে আটকে যায় এবং পরবর্তিতে কোষের পর্দা ভেদ করে কোষের ভিতরে প্রবেশ করে। ফুসফুসের ভিতরে বা কোষের ভেতরে প্রবেশ করে আরএনএ দুটি কোষৈর নিজস্ব প্রোটিন তৈরির মেশিন ব্যবহার করার সাথে সাথেই ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে শুরু করে। আর কোনো ব্যক্তির শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাহলে সেই ভাইরাস দ্রুত সেই ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে অনেকের বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাদুরের থেকেই যে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, এই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত কি করে? এদিন এই প্রসঙ্গে গবেষণার মুখ্যবিজ্ঞানী সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, “গবেষণায় দুটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এক করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, এবং দুই সংক্রমণ প্রতিহত করার উপায়। বায়োফরমেটিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, বাদুড় থেকে এর উৎপত্তি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “মানব শরীরের এসিই 2 কে যে পদ্ধতিতে করোনার স্পাইক প্রোটিন গ্রাস করছে, তা শুধুমাত্র বাদুরের মধ্যেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে ফাংশনাল অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারলেই প্রতিষেধক তৈরি সম্ভব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সেই গবেষক দলের সদস্য অভিজ্ঞান চৌধুরী বলেন, “করোনা ভাইরাস জনিত কোষের ইনফেকশনকে প্রতিহত করতে হলে যা প্রয়োজন, তা হল কোনোভাবেই ওই ভাইরাসকে ফুসফুসের কোষের রিসেপ্টরে সংযুক্ত হতে না দেওয়া।”

তাঁর মতে, “যাতে কোষের পর্দা ভেদ করে সে ভেতরে ঢুকতে না পারে এবং বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। গবেষণার এই রিপোর্টটি প্রতিষেধক তৈরি করতে সাহায্য করবে।” আর ভারতীয় গবেষকদলের করোনা সংক্রমণের কারণ হিসেবে বাদুরকে দায়ী করার ঘটনা এখন রীতিমত নজর কেড়েছে সকলের। বস্তুত, বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই কেন এই করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত, তা নিয়ে নানা গবেষণা করেছে। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি।

তবে এবার ভারতের দুই সন্তান যেভাবে এর জন্য বাদুর দায়ী বলে দাবি করলেন, তাতে আশা তৈরি হয়েছে ভারতবর্ষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, এই গবেষক মন্ডলী যদি প্রতিষেধক তৈরিতে সক্ষম হয়, তাহলে গোটা ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর দুই বাংলায় গবেষকের এই রিপোর্ট মার্কিনি মেডিক্যাল জার্নালও স্বীকৃতি দেওয়ায় ক্রমশ বাড়ছে আশার আলো। এখন গবেষক মন্ডলীর গবেষণা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, করোনাকে প্রতিরোধ করতে তারা ঠিক কি প্রতিষেধক তৈরি করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!