এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ইলিশপ্রেমীদের সুখবর জানিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন মৎসমন্ত্রী – জানুন বিস্তারিত

ইলিশপ্রেমীদের সুখবর জানিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন মৎসমন্ত্রী – জানুন বিস্তারিত


জোগান কম, কিন্তু বর্তমানে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। ভাদ্র মাস প্রায় শেষ। কিন্তু ইলিশের সেভাবে বাজারে দেখা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এর দাম প্রবলভাবে চড়া। কিন্তু ইলিশ মাছ বাদ দিয়ে অন্যান্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন ইলিশপ্রেমীরা। তবে মৎস্যমন্ত্রীর আশ্বাস, পুজোর আগেই ইলিশের জোগান বাড়বে। মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম।

বস্তুত,সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার হয়ে আছে। দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার ছুটির দিন এমন সুমধুর আবহাওয়ায় দুপুরের পাতে ইলিশের স্বাদ পেতে রামপুরহাটের হাটতলা বাজারে প্রবল ভিড় ছিল। হন্যে হয়ে বাজারে ইলিশ খুঁজছেন তাঁরা। কিন্তু দু-তিনজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ইলিশের দেখা মিললেও, তা হিমঘরে মজুত রয়েছে। তবে বাক্সে বরফের উপর রাখা গোটাকতক ইলিশ থাকলেও তার স্বাদ ও গন্ধ নেই। চকচকে আঁশের টানে দু’-একজন ক্রেতা এগিয়ে আসলেও দাম শুনেই তারা দূরে সরে যাচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি প্রতি দর ৫০০-৬০০ টাকা, ৭০০ বা ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি ১০০০টাকা, এক কেজি বা তার থেকে সামান্য একটু বেশি ইলিশের দর ১৫০০টাকা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক ক্রেতা বলেন, “সকাল থেকে বৃষ্টি। এমন আবহাওয়া এবছর রামপুরহাটে প্রথম। খিচুড়ি ও ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার ইচ্ছা উপেক্ষা করতে পারলাম না। কিন্তু, বাজারে এখন ইলিশের এত দাম হবে বুঝতে পারিনি। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে এখন ইলিশ।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে একজন ক্রেতা বলেন, “ইলিশের দর শুনে মনে হচ্ছে পদ্মা থেকে ধরে সরাসরি নিয়ে আসা হয়েছে বাজারে। হিমঘরের পুরনো ইলিশের না আছে স্বাদ, না আছে গন্ধ। তাও কেন এত দর কিছুই বুঝছি না বাপু?” আরেকজন বলেন, “ইলিশের জোগান এবছর তুলনামূলকভাবে কম। বাজারে যে ইলিশ বিকোচ্ছে, তার বেশিরভাগ হিমঘর থেকে আমদানি। কিন্তু, তার দরও আকাশছোঁয়া। বাড়িতে অতিথি আসবে বলেই ইলিশ কিনতে আসা। তবে, বাজারে এসে দর শুনে হতাশই হলাম।”

তবে মাছ ব্যবসায়ীর দাবি, অন্য বছর এই সময় নানা সাইজের ইলিশে বাজার ভরে যায়। তাঁরা বলেন, “জুলাই থেকে নভেম্বরের শেষ অবধি ইলিশের মরশুম চলে। এবছরের শুরু থেকেই মাছের আমদানিতে টান।” তবে এই ব্যাপারে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “যে আবহাওয়া চলছে তাতে ইলিশ পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। এত নিম্নচাপ হচ্ছে তাতে ইলিশ আসছে না। আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে ইলিশের জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবে, পুজোর আগে আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। তখন ইলিশের জোগান বাড়বে। স্বভাবতই দামও কম হবে।” সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালির কাছে ইলিশ এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। কিন্তু ইলিশের জোগান বাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!