এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা পদ এবার বিলুপ্ত হতে চলেছে ভারতীয় রেলে! করোনা আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত

ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা পদ এবার বিলুপ্ত হতে চলেছে ভারতীয় রেলে! করোনা আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইংরেজ আমলে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারতীয় রেল অন্যনামে তার পথ চলা শুরু করেছিল। তারপর দেড়শতক অতিক্রম করেছে রেল, বহরে বেড়েছে অনেক, এসেছে নতুন নতুন ট্রেন, বেড়েছে রেলপথ, বেড়েছে প্রযুক্তি। কিন্তু সেই ব্রিটিশ আমল থেকে চলা বেশকিছু পুরোনো প্রথা এখনো রয়ে গেছে ভারতীয় রেলে। এবার সেরকমই দুটি প্রাচীন প্রথায় লাগাম পড়াতে চলেছে ভারতীয় রেল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল ৬ ই আগস্ট ভারতীয় রেলের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, এখন থেকে ভারতীয় রেলে খালাসি সিস্টেম এবং বাংলো পিওন নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেও বেশ কিছু পার্থীকে রেলের তরফ থেকে খালাসি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই নিয়োগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। ইংরেজ আমলে চালু বেশ কিছু পুরোনো প্রথা ও পুরোনো পদ বাতিলের পথে ভারতীয় রেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রথাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলো পিওন নামের বিশেষ পদটি। সাধারণ ভাবে রেখে কর্মরত অধিকাংশ আধিকারিকেরা বাংলো পিওনের সুবিধা পেতেন। সেইসঙ্গে রেলের উচ্চ আধিকারিকদের বাংলোয় খালাসি নিয়োগ করা থাকতো। ইংরেজ আমলের সামাজ্যবাদী মানসিকতায় এই প্রথাগুলি হয়তো সাযুজ্যপূর্ণ ছিল, কিন্তু বর্তমানের দিনে এগুলি একেবারেই অমানবিক। কারণ, রেলের একজন বিশেষ সরকারি আধিকারিকের অধীনে ওপর একজন সরকারি কর্মীর চাকর খাটার বিষয়টি অপমানজনক ও অমানবিক।

তাই এই প্রথাগুলি বিলুপ্ত করার পথে হাটতে দেখা গেলো ভারতীয় রেলকে। সেই সঙ্গে করোনা সংকটকালে আর্থিক মন্দার বাজারে কিছুটা ব্যয় সংকোচনের কারণেও রেলের এই নীতি। তাই এই নিয়োগগুলি বন্ধের সঙ্গে সঙ্গেই রেলের চলতি অন্যান্য নিয়োগগুলির ক্ষেত্রেও বারবার ভেবে দেখতে চাইছে ভারতীয় রেল। আকশন প্ল্যান তৈরী করে ব্যয় সংকোচনের ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ জারি করতে চলেছে ভারতীয় রেল। রেলের জেনারেল ম্যানেজার, ডিআরএমদের বার্ষিক নিরীক্ষণ ব্যয়ে হ্রাস পড়ানো হবে, রেলের আধিকারিকদের মধ্যে চলা একাধিক মিটিং এখন হবে ভার্চুয়াল ভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে, কাগজ, কারটেজের ব্যবহার কমাতে অনলাইন পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়ানো হবে, রেলের স্টাফেদের গাড়ির খরচ হ্রাস করা হবে, সেই সাথে নতুন আসবাব, যানবাহন, কমিউটার, প্রিন্টার ক্রয় আপাতত আপাতত বন্ধ রাখা হবে। রেলের বার্ষিক সভা থেকে শুরু করে, নতুন কিছুর উদ্বোধন সবটাই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। সুরক্ষা, চিকিৎসা ব্যাতিত অন্য সর্বত্র সরাসরি অর্থ প্রদান আপাতত বন্ধ থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!