এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রামের উপর বিজেপির ‘কপিরাইট’ করতে এবার কোমড় বেঁধে ময়দানে নামলেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ

রামের উপর বিজেপির ‘কপিরাইট’ করতে এবার কোমড় বেঁধে ময়দানে নামলেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঘিরে এ রাজ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 5 ই আগস্ট দিনটিকে গেরুয়া শিবির অন্যান্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও উদযাপনের কথা ভেবেছিল। সে কারণেই ঐ দিনটিকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার বহু আবেদন করেছিল রাজ্য সরকারের কাছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু যথারীতি রাজ্য সরকার তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেনি। আর তারপর থেকেই দুই দলের দ্বন্দ্ব আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একদিকে যেমন বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলে বলা হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে তাঁরা। তাঁদের ধর্মীয় অবস্থান পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অন্যদিকে একইভাবে তৃণমূল শিবির থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এদিন এরকমই একটি অভিযোগ তুললেন দমদমের বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজ্যে 5 আগস্ট লকডাউন ঘোষণা করেছিল তৃণমূল সরকার।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি তৃণমূল সরকারের প্রতি অভিযোগ জানান যে তাঁরা রাজ্যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। অন্যদিকে রাম মন্দির সংক্রান্ত ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন দিলীপ ঘোষ। আর তার জবাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পাল্টা বলেন, রাম কারো একার নয়। রাম সকলের। বিজেপি আসলে রাম এর ওপর কপিরাইট চাপাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও বিজেপি রামকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় এদিন আরও অভিযোগ করেন, করোনা আবহে যেভাবে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো সমাপন হল তা মোটেই ঠিক হয়নি। দেশের এই অতিমারি সময়ে মোদী সরকার কিভাবে পুজোর অনুমতি দিলেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও রাম মন্দির নিয়ে সমর্থন বা বিরোধিতার প্রশ্নটিই পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেন সৌগত রায়। অন্যদিকে 5 ই আগস্ট লকডাউন ঘোষণা করা নিয়ে যেরকম গেরুয়া শিবির তীব্র আপত্তি তুলেছিল রাজ্যজুড়ে, ঠিক সেভাবেই তাঁরা লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে উৎসব পালন করে বলে জানা যাচ্ছে।

এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খন্ডযুদ্ধ বাঁধে তাঁদের। এর ফলে একাধিক বিজেপি নেতা কর্মী গ্রেপ্তার হন বলেও জানা গেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 5 ই আগস্ট দিনটি একটি বিশেষ ইস্যু যে হতে চলেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন থেকেই তৃণমূল-বিজেপি শিবির এই ইস্যুতে ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, 5 ই আগষ্ট দিনটিকে ব্যবহার করে বিজেপি যাতে কোনো রাজনৈতিক সুবিধা না তুলতে পারে সেজন্যই হয়তো রাজ্যের শাসক মহল ওই দিনটিকে লকডাউন এর আওতায় রেখেছিলেন। আপাতত ধর্মের নামে এই রাজনৈতিক যুদ্ধে কোন দল জেতে, সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!