এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রামমন্দিরের ভূমিপুজোর আবহে তুলকালাম ঠাকুরবাড়িতে! ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা

রামমন্দিরের ভূমিপুজোর আবহে তুলকালাম ঠাকুরবাড়িতে! ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম মন্দির নিয়ে ইতিপূর্বে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে একদা লড়াই চলেছে, লড়াই চলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে, রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের দিনে রাজ্য সরকারের ঘোষিত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ বেঁধেছিল রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির। এবার রাম মন্দির নিয়ে বিরোধ বাঁধতে দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগনার ঐতিহ্যশালী ঠাকুরবাড়ির অন্দর মহলে । প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরের জল ও মাটি পাঠানো নিয়ে সামনে উঠে এলো তীব্র অভিযোগ।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সংসদ ও সেইসঙ্গে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বনগাঁর দেবগড় অঞ্চলে একটি বিশেষ সভামঞ্চে যোগদান করেন। উক্ত মঞ্চ থেকে তিনি বনগাঁর বর্তমান বিজেপি সাংসদ শান্তুনু ঠাকুরের প্রতি অভিযোগের আঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেন, সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর রাম মন্দিরের ভূমিপূজনের উদ্দেশ্যে ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যশালী কামনা সাগরের জল ও মাটি পাঠিয়েছিলেন।

কিন্তু সেই জল ও মাটি মন্দিরের ভূমি পূজনে ব্যবহৃত না হয়ে তা ফেরত চলে এসেছে ঠাকুরবাড়ীতে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐতিহ্যশালী কামনা সাগরের জল ও মাটি পাঠিয়ে আদতে শান্তুনু ঠাকুর ঠাকুরবাড়িকেই অপমানিত করেছেন। শান্তুনু ঠাকুরের কাছে তিনি এর জবাবদিহি চেয়েছেন, সেইসগে শান্তুনু ঠাকুরের
কুশপুত্তলিকা দাহ ও তাঁর বিরুদ্ধে অঞ্চলজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষভেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগকেই সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বিবৃতি, ” কামনা সাগরের জল এবং মাটি প্রত্যাখ্যান করা হয়নি। ভূমিপুজোর কাজে না লাগিয়ে ফেরত পাঠানো হলে তা আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হত।”শান্তুনু ঠাকুরকে এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর দাদা ও সেই সঙ্গে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর।

এ বিষয়ে সুব্রত ঠাকুর বলেছেন, “ঠাকুরবাড়ির মাটি এবং জল রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় কাজে লাগানো হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গুজব রটাচ্ছে।” শান্তুনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা মমতাবালা ঠাকুরকর উদেশ্য করে তিনি বলেছেন, ““তিনি যা বলেছেন তা তাঁর নিজস্ব মত। উনি কোন রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী বলে হয়তো দলের চাপে এসব বলেছেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!