এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির দিকে ‘পা বাড়াতেই’ কি শাসকঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতার ‘কড়া শাস্তির’ ব্যবস্থা?

বিজেপির দিকে ‘পা বাড়াতেই’ কি শাসকঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতার ‘কড়া শাস্তির’ ব্যবস্থা?

রাজ্য-রাজনীতি আজ সরগরম শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ডিএর রায় ও পে-কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার খবরে। কিন্তু তার মাঝেই সামনে এল এরও বড় খবর। শাসকঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতার জন্য ‘কড়া শাস্তির’ নিদান এল নবান্ন থেকে। শাসকপন্থী হেভিওয়েট নেতা সঞ্জীব পালকে বদলি করে দেওয়া হল সুদূর আলিপুরদুয়ারে।

সঞ্জীববাবু তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মচারী ফেডারেশনের অন্যতম শীর্ষনেতা ছিলেন। তিনি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যেপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন বলেই কর্মচারী মহলে গুঞ্জন। আর সেই ‘স্নেহার্শীবাদেই’ দীর্ঘদিন ধরেই সিএমওতে তিনি কর্মরত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী মহলে তাঁর দাপট নবান্নের অলিন্দে ঘুরলেই স্পষ্ট হয়ে যেত।

এই সঞ্জীববাবুই হঠাৎ করে লোকসভা নির্বাচনের আগে বেসুরো গাইতে থাকেন। তিনি দলের ও দলনেত্রীর প্রতি তাঁর আস্থার কথা জানিয়েও, সরকারি কর্মচারীদের বলেন, ডিএ ও পে-কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকার সদ্রথ পদক্ষেপ না নিলে, আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করবেন। মূহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর সেই ভিডিও। এরপরেই সঞ্জীববাবুকে সিএমও থেকে পরিবহন দপ্তরে বদলি করে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন মিটতেই নাকি সঞ্জীববাবু পা বাড়িয়েছেন বিজেপির দিকে বলে সরকারি কর্মচারী মহলে তীব্র জল্পনা। ইতিমধ্যে, বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা সায়ন্তন বসুর সঙ্গে তাঁর একপ্রস্থ আলোচনাও নাকি হয়ে গেছে। এমনকি, সরকারি কর্মচারী পরিষদের দেবাশীষ শীলের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেছেন বলে সরকারি কর্মচারী মহলে খবর। যদিও এই প্রসঙ্গে সঞ্জীববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি, অন্যদিকে এই নিয়ে মুখ খোলেননি দেবাশীষবাবুও।

তবে, সঞ্জীববাবুর সুদূর আলিপুরদুয়ারে বদলি নিয়ে রীতিমত ক্ষোভে ফুটছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই সুদূর উত্তরবঙ্গে বদলি করে ‘শাস্তি’ দেওয়াটা বর্তমানে একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাই তো বদলির প্রথম ঘটনা নয়! এর আগে, রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আরও অনেকেই এইভাবে দূর-দূরান্তে বদলি হয়েছেন।

দেবাশীষবাবু আরও বলেন, রাজ্য সরকারের এই মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যিনি যে দলের সমর্থকই হন না কেন, যাঁর বিরুদ্ধেই এরকম ‘শাস্তিমূলক’ বদলির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে সকলকে তাঁদের পুরোনো জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি তা না হয়, তাহলে আগামী দিনে রাজ্য সরকারের এই প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতার বিরুদ্ধে কর্মচারী সমাজের বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হতে চলেছে, একথা স্পষ্ট করে দিতে চাই।

এদিকে, সূত্রের খবর, রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য কোর কমিটির এক বৈঠক ছিল আজ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় – সঞ্জীব পালকে কর্মচারী ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার করা হল। এছাড়াও, সঞ্জীব পালের জায়গায় খাদ্য দপ্তরের সমীরণ রায় কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন। আর তারপরেই, পরিবহন দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দেন সঞ্জীববাবুর এই বদলির কথা। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির দিকে ‘পা বাড়াতেই’ কি শাসকঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতার ‘কড়া শাস্তির’ ব্যবস্থা হল?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!