এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধ্যাপককে মার, টিএমসিপির হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তৃণমূল বিধায়ক

অধ্যাপককে মার, টিএমসিপির হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তৃণমূল বিধায়ক

গতকালই কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত হন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। যে ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা মহলে তীব্র সমালোচনার সুর শুনতে পাওয়া যায়। অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দিকে।

এদিকে এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল। শিক্ষাঙ্গণে যেখানে বারে বারে শান্তি স্থাপনের জন্য এবং নিজের দলের ছাত্রসংগঠনকে শৃঙ্খলাপরায়ন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপকের গায়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের হাত তোলা শাসকদলের দিকে প্রশ্ন তুলে দেয়।

আর পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য এদিন সকালেই সেই নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনার জন্য পরবর্তীতে কলেজে এসে নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে রীতিমতো হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব এবং উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

সূত্রের খবর, এদিন প্রথমেই কলেজে গিয়ে অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তার পা ছুঁয়েয়ে প্রণাম করেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। আর এরপরই এই ঘটনার পিছনে ঠিক কে জড়িত তা নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে জানতে চান উত্তরপাড়ার বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে প্রথমে ভয়ে সেই নাম বলতে অস্বীকার করেন নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “আমি যদি তার নাম নিই, তাহলে আমার কাল থেকে কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।” আর এরপরই সেই অধ্যাপককে আশ্বস্ত করে প্রবীর ঘোষাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। আপনি শুধু নামটা বলুন। কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব।”

আর এরপরই কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিক কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেছে এবং তার উস্কানিতেই ছাত্ররা তার গায়ে হাত তুলেছে বলে জানান নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এদিকে এই ঘটনার পরই ফের আরও একবার সেই অধ্যাপকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব এবং উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের ছাত্রসংগঠনকে যখন শৃঙ্খলা শেখাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই কোন্নগর কলেজে অধ্যাপকের গায়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাত তোলার ঘটনা রাজ্যের শাসক দলকে বড়ই বিরম্বনায় ফেলেছে। আর তাইতো পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য অধ্যাপকের পাশে দাঁড়াতে দলীয় বিধায়ক এবং জেলা সভাপতিকে পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এত কিছুর পরেও শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ফিরবে কিনা, এখন সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!