এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অবশেষে কি মিটতে চলেছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়ালো জল্পনা –

অবশেষে কি মিটতে চলেছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়ালো জল্পনা –


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট ভারতবাসীর কাছে আজকের দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনেই দেশ মুক্ত হয়েছিল প্রায় দু’ শতাব্দীর ব্রিটিশ শাসনের নাগপাশ থেকে। এ কারণে আজকের এই স্বাধীনতা দিবসের দিনটি প্রতিবছর বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়ে থাকে দিল্লিতে সেইসঙ্গে প্রতিটি রাজ্যে। কিন্তু বর্তমানে দেশে চলছে ভয়াবহ করোনার তান্ডব। আর এই আর এই মহামারীর প্রকোপ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক দূরত্বের নিদান দিয়েছেন।

তাই দেশের সর্বত্র মান্য করা হচ্ছে এই সামাজিক দূরত্ব বিধি। আর এই সামাজিক দূরত্বের কথা ও করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখেই এবছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত বলা যেতে পারে নামেমাত্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয় কেন্দ্র ও সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। দিল্লিতে লালকেল্লায় এবারে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যেমন যথেষ্ট কাটছাঁট করা হয়েছে এমনি নামেমাত্র অনুষ্ঠান হতে দেখা গেল এবার আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও ।

করোনা সংক্রমনের ফলে কলকাতার রেড রোডের প্রতিবছরের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানটি এবছর অনেকটাই তালভঙ্গ হলো। প্রসঙ্গত এবার এই অনুষ্ঠানটি মাত্র ১৫ মিনিটে সম্পন্ন করা হলো । অনুষ্ঠানের প্রধান পরিচালকের কর্ম সমাধা করে রাজভবনে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান বেশ কিছুক্ষণ থেকে তিনি বেরিয়ে গেলেন।

প্রসঙ্গত আজ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে রেড রোডে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। হাত স্যানিটাইজ করে অনুষ্ঠান মঞ্চে আহরণ করেন তিনি। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে গার্ড অব অনার সম্মানে ভূষিত করলেন কলকাতা পুলিশের বড় বড় আধিকারিকেরা। এরপর সকাল দশটায় মুখ্যমন্ত্রী উত্তোলন করলেন আমাদের জাতীয় পতাকা। এরপর চলল কলকাতা পুলিশের খুব সংক্ষিপ্ত স্বল্প সময়ের কুচকাওয়াজ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর রাজ্যের তরফ থেকে চারটি ট্যাবলো প্রদর্শন করা হলো। করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখেই এবার এতটা কম ট্যাবলো প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মোট ২৫ জন করোনা যোদ্ধাকে বিশেষ সন্মান ও অভিবাদন জানালেন। তারপর নেতাজির মূর্তিতে সেইসঙ্গে পুলিশ মেমোরিয়ালে মাল্যদান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর চলে গেলেন তিনি রাজভবনে। এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হলো মাত্র ১৫ মিনিটে।

অন্যদিকে, রাজভবন সূত্রের খবর আজকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে রাজ্যপালের। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাক্ষাতকার একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার মাত্র। অন্য কিছু ভাবা সমীচীন নয়। তবে রাজভবন সূত্রের দাবি করা হয়েছে, আজকের দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলেছে রাজ্যের এই দুই প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে।

বর্তমানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজভবন ও নবান্নের সংঘাত আমরা লক্ষ্য করেছি। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা থেকে শুরু করে, রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্র, রাজনৈতিক পরিবেশ, রাজনৈতিক হিংসা, আইন-শৃঙ্খলা সমস্ত কিছু বিষয়েই রাজ্যকে অভিযুক্ত করে তাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপাল। আর রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরাও রাজ্যপালের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। এভাবেই তাদের মধ্যে একাধিকবার দেখা গেছে টুইট যুদ্ধ । দ্বন্দ্বমূলক এই পরিস্থিতির মধ্যে আজ রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক আলাপচারিতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল । জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কি প্রধানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটতে চলেছে, দুজনের মধ্যে কি ভালো সম্পর্ক তবে আশা করা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকেলে রাজভবনে একটি চা-চক্রের ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল। এই চা-চক্রে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আমন্ত্রণ লাভ করেছেন। যাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীও আছেন। তবে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আজ সন্ধ্যেবেলা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত সে সময় তাঁর পক্ষে রাজভবনে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। এ কারণেই তিনি আজ সকালেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন। তবে দুজনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা এখনো সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়নি। আর সেটা নিয়েই কৌতূহল রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!