তৃণমূলে থেকেও মেটেনি সমস্যা, বিজেপিতে যোগ তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 24, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের আগে দলবদলের পালায় এবার আবারো তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গেল কিছু মানুষকে। সমস্যা জল যন্ত্রণা। বস্তুত, বহুদিন তৃণমূলের তরফে সেই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলপাহাড়ি ব্লকের ভেলাইডিহা পঞ্চায়েতের রাজদহ গ্রামে। জানা গেছে, ২০১৬ সালে বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদা ও ভেলাইডিহা পঞ্চায়েতের ১৭টি মৌজায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে একটি জলপ্রকল্প চালু করা হয়। সেই প্রকল্পে তারাফেনি খালের জল পরিস্রুত করে রিজার্ভারে সঞ্চিত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাস্তার ধারে ট্যাপে ওই জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওঠে যে, শিলদা পঞ্চায়েতের শুকজোড়া এলাকার একাংশ বাসিন্দা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ লাইন থেকে নিজেদের উদ্যোগে অসংখ্য বেআইনি সংযোগ নিয়েছেন। সেইসঙ্গে কেউ কেউ বাড়ির ভিতরেও জলের লাইন নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে ভেলাইডিহা অঞ্চলের রাজদহ, মেছুয়া, খরসতী, কুশমুড়ার মতো কয়েকটি গ্রামের ট্যাপগুলিতে জল পড়ে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেইসঙ্গে জানা গেছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজদহ গ্রামের মানুষদের। কারণ রাজদহ গ্রামের পাতকুয়োর জল খাওয়ার আযোগ্য। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের তারাফেনির নদীর বালি খুঁড়ে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবার তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেখানকার মানুষ। এদিন সেখানকার ৫ তৃণমূল কর্মীদের হাতে বিজেপির তরফে পতাকা তুলে দিতে দেখা গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বলেন, বেলপাহাড়ি অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর কার্যত নেই। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ওই এলাকায় মেগা প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে সমস্যা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজদহ বুথের সভাপতি নয়ন দাস স্বীকার করে নিয়েছেন যে, শাসকদলে থেকেও তাঁরা পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ। আর সেই সুযোগটাই বিজেপি নিচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে গ্রামে সরকারি জল প্রকল্পের ট্যাপ থাকলেও সেখানে জল না পড়া বা বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও ফল না পাওয়ার কথাও শোনা গেছে তাঁর মুখে। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম সাংসদ তহবিলের টাকায় এক বছরের মধ্যে জল প্রকল্প গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিয়ে এখন তাঁর সাংসদ তহবিল শূন্য। সেইসঙ্গে অতিমারি পরিস্থিতি কাটলে তহবিলে টাকা আসবে বলেও জানান তিনি। সেই কারণেই এক বছরের মধ্যে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। যদিও তৃণমূল এর মধ্যেও রাজনীতি করা হচ্ছে বলেই কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -