প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বেশ কিছুদিন আগেই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে যোগদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে তারপর থেকেই বিজেপির টিকিটে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হওয়া বাবুল সুপ্রিয় তার সাংসদ পদ কবে ছাড়বেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। অবশেষে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজের সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দিলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। আর সেই উপনির্বাচনে কি তৃণমূলের তরফে এবার প্রার্থী হবেন বাবুল সুপ্রিয়! ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তিনি লেখেন, “স্পিকার ওম বিড়লাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমাকে আগামীকাল সকাল 11 টার সময় তিনি সময় দিয়েছেন। আমি তার হাতে ইস্তফা পত্র জমা দেবো। আমি এরপর থেকে বিজেপি সাংসদ হিসেবে কোনো অর্থ বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেব না। আমি আর বিজেপির অংশ নই। যে বিজেপির জন্য আমি একটি আসনে জয়লাভ করেছিলাম। আমার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে, তবে আমি আবার জয়লাভ করব।” আর তার এই ট্যুইটে লেখা মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয় তার বর্তমান দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো সবুজসংকেত পেয়েছেন? তার দলের পক্ষ থেকে কি তাকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, আসানসোল উপনির্বাচনে আবার তাকে সাংসদ পদের জন্য টিকিট দেওয়া হবে? আর সেই কারণেই কি টুইটে এই ধরনের ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয়? ইতিমধ্যেই কিন্তু এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। যদিও বা এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে আগামীকাল সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দামামা বাজলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাকে সেখানে প্রার্থী করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।