প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যতই চেষ্টা করুন না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণনগর এবার তার দলের হাতছাড়া হচ্ছেই। এটাতে কার্যত নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ তিনি এখানে যাকে প্রার্থী করেছেন, সেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তাকে বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করছে। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। সাংসদ হিসেবে সংসদ থেকে তাকে বহিষ্কার পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাকে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বড় বড় গলায় ভাষণ দিয়ে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী নারীমা অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলেছেন। আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করেই ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানীমা অমৃতা রায়কে তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া দেন। অমৃতাদেবী বলেন, “আমার কি আছে না আছে, সেটা ইতিহাস জানে। ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এসব করে লাভ হবে না। ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এত নেতা মন্ত্রী কেন জেলে গেল? কেন মহুয়া মৈত্রকে বারবার ইডি তলব করছে! এই সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।” একাংশ বলছেন, সঠিক জায়গায় আঘাত এনেছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী। অমৃতা রায় প্রার্থী হওয়ার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র কার্যত দিকভ্রষ্ট।

কারণ মহুয়া দেবীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তাতে কৃষ্ণনগরের মানুষ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তৃণমূলের দিকে সমর্থন দেবে না। তাই রানীমাকে উদ্দেশ্য করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত কৃষ্ণনগরের সভা করে বলেছেন। তবে মূল প্রশ্ন কেন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে? কেন আসল দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে! সেই নিয়েই তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিলেন কৃষ্ণনগরের রানীমা। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল যে প্রচন্ড অস্বস্তিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।