এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কোথায় দূরত্ববিধি! বিশাল জমায়েত করে বিধানসভার আগে শক্তি প্রদর্শন তৃণমূলের! উঠছে একাধিক প্রশ্ন

কোথায় দূরত্ববিধি! বিশাল জমায়েত করে বিধানসভার আগে শক্তি প্রদর্শন তৃণমূলের! উঠছে একাধিক প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে বাংলায় প্রতিদিন আতঙ্ক বাড়ছে। হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে কোনো রকম জমায়েত করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট রাজনীতির দিকে তাকিয়ে শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করতে শুরু করেছে। যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূর অস্ত, অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না।

আর এবার উলুবেড়িয়ায় উদয়নারায়নপুর দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। যেখানে প্রবল জনসমাগম করে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বৃ্দ্ধি না মানায় শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করল প্রশ্ন। একইভাবে দক্ষিণ 24 পরগনা ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী তৃণমূলে যোগদানেও দূরত্ববিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে। একই ছবি দেখা গেছে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানেও। স্বভাবতই কেন লকডাউনের সময় নিয়মকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা না দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই রকম কর্মসূচি করা হল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের বাৎসরিক কর্মসূচি একুশে জুলাই এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত হয়নি। কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে সকলকে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ তিনি চেষ্টা করেছিলেন, লকডাউন যাতে ভঙ্গ না হয়, তার জন্য নিজের দলের এই বাৎসরিক কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত আকারে করতে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চেষ্টা করলেও এবার জেলায় জেলায় যেভাবে তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচি এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতারাই ভোট রাজনীতিকে পাখির চোখ করে সব থেকে বেশি লকডাউন ভঙ্গ করছে। আর তার ফলে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। তবে সাধারণের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, শাসক হোক বা বিরোধী, এই সময়ে অন্তত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করে রাখা উচিত। করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে সহযোগিতা না করে এইভাবে মানুষের বিড়ম্বনার কারণ হলে ভোট রাজনীতিতে অনেকটাই প্রভাব পড়বে। সব মিলিয়ে এবার লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনে তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!