জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী আতঙ্ক, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পড়লো পোস্টার রাজ্য May 31, 2018 রাজ্যের একটি অন্যতম বিতর্কিত জায়গা জঙ্গলমহল ফের একরাশ প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। মাত্র দশ বছর আগেও এই অঞ্চল সিপিএম দলের সন্ত্রাস কবলিত ছিলো । এই সন্ত্রাসের কবল থেকে অঞ্চলের মানুষকে বের করে আনতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলো অঞ্চলের মাওবাদীরা। তাঁরা জঙ্গলমহলের গ্রামের পর গ্রামে যেভাবে ‘সিপিএম করা চলবে না’ জানিয়ে নির্দেশ জারি করে রেখেছিলো। যার জেরে অঞ্চলবাসী মানুষজন বেশ আতঙ্কগ্রস্ত দিন কাটাচ্ছিলেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবং রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। ঐ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশ অল্প কদিনের জন্যে হলেও একটু স্থিতি এসেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে একই কায়েদায় ঝাড়গ্রামের বেলপাহড়ি, বিনপুর সহ একাধিক এলাকার গ্রামের পর গ্রামে আদিবাসী সমাজের তরফে ফতোয়া জারি করা হয়েছে-‘তৃণমূল করা চলবে না’ এই মর্মে। এমনকি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বেলপাহাড়ি ব্লক কমিটীর কার্যকরী সভাপতি হেমলেট মান্ডিকেও সামাজিক বয়কটের সম্মুখীন হতে হয়েছে। একইভাবে বেলপাহাড়ি থানার কাশিজড়া-জয়পুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অপরাধে হিসেবে একটি বিয়ে ভেঙে দেওয়া সহ তিনটি পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিনপুর-২ ব্লকের সভাপতি বংশীবদন মাহাতো বললেন, ”ওসব সাঁওতালদের সামাজিক ব্যাপার। তাছাড়া আমি এখন প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি।” এদিকে পুলিশের দাবি কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই তারা আদিবাসীদের সামাজিক ব্যাপারে অযথা ঢুকবেনা। আবার ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা অনুসারে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব থেকে এলাকাবাসীকে বের করে আনতে সফল হয়েছে। যার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঐ এলাকায় রাজ্যের শাসক দলের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আপনার মতামত জানান -