এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > জাতীয় রাজনীতিতে বড়োসড়ো মিল সামনে এল কংগ্রেস ও বিজেপির, বাড়ছে গুঞ্জন

জাতীয় রাজনীতিতে বড়োসড়ো মিল সামনে এল কংগ্রেস ও বিজেপির, বাড়ছে গুঞ্জন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2024 এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যখন কথা হচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে, তখন আলোচনার শীর্ষে থাকবে জাতীয় স্তরের প্রধান দুটি দল কংগ্রেস এবং বিজেপি। বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে মোদী-অমিত শাহ জুটি। কিন্তু ক্রমশ বিজেপির অন্দরেও হাইকমান্ড মনোভাব জায়গা পাচ্ছে। এই হাইকম্যান্ড মনোভাবের আসল উদ্যোক্তা কংগ্রেস শিবিরকেই ধরা হয় এখনো পর্যন্ত। কংগ্রেসের অন্দরে এই হাইকমান্ড প্রভাব চলে আসছে সেই ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে। কিন্তু তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন চূড়ান্ত সমালোচনা। কার্যত ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকেই হাইকমান্ড প্রভাব শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে। 5 বছরে 5 জন মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

কার্যত কে কখন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা ঠিক করতেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। ঠিক একই রকম পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির জমানাতেও। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গত চার বছরে সেখানে বিজেপি সরকারের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। আর তাই নিয়ে উত্তরাখণ্ডে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চলছে চাপান-উতোর। আর এখান থেকেই কংগ্রেসের হাইকমান্ড সংস্কৃতি এবার বিজেপিতে প্রবেশ করছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু দলেই এখন ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রাজ্যে রাজ্যে। বিধানসভা ভোটে হারের পর পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালাতে বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর বর্তমান।

পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশেও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চূড়ান্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে জানা যাচ্ছে। একইভাবে কংগ্রেসের অন্দরেও ছবিটা প্রায় এক। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় গান্ধী পরিবার। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যম্ভাবী হিসাবে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে গান্ধী পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের। তার কারণ ইন্দিরা গান্ধির জমানায় তিনি নিজে প্রবল শক্তিশালী নেত্রী ছিলেন এবং দলের ওপর তার প্রভাব ছিল আকাশচুম্বী। যা সোনিয়া গান্ধীর সময়কালে এবং রাহুল গান্ধীর জমানায় একেবারেই অস্তমিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে রাজস্থান হোক কিংবা পাঞ্জাব, আসাম, কেরালা, কর্ণাটক, গুজরাতে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশ মানতে চাননা কেউই। অবশ্য বিজেপির ছবিটা একটু ভিন্ন। কার্যত রাজ্যে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদিকে মুখ করে বিজেপি ভোটে জিতে এসেছে। সাত বছরের রাজত্বকালে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন মোদী-শাহের অঙ্গুলিহেলনে হয়েছে। পাশাপাশি ভোটে জেতার ব্যাপারে তাঁদের ইতিবাচক ভঙ্গিমা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন কথা বলতে পারেনি। যতই রাজ্যে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অন্তর্কলহ থাকুক না কেন। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে এতদিন যে মোদি-শাহ জুটি অপরাজেয় বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল, তা নিমেষে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ভোট প্রচার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের দিকে। তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শীর্ষ নেতৃত্বের প্রভাব যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে হাইকম্যান্ড সংস্কৃতি বিজেপির অন্দরে প্রবেশ করলেও তা ভালোই ধরে রেখেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, যতদিন ক্ষমতা রয়েছে ততদিন হাইকমান্ড সংস্কৃতি কাজ করবে। কিন্তু যখন ক্ষমতা চলে যাবে, তখন কিন্তু এই হাইকমান্ড সংস্কৃতি থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছে। কারণ হাতে গরম উদাহরণ হল কংগ্রেস। কার্যত ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেসের হাইকমান্ড সংস্কৃতি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছিল, বর্তমানে কিন্তু তা একদম তলানিতে। প্রায় মিলিয়ে যাবার সম্মুখীন। অতএব পরিস্থিতি বিচার করে গেরুয়া শিবির তাঁদের হাইকমান্ড সংস্কৃতিকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই এখন লক্ষণীয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!