এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > যেকোন সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, জানুন বিস্তারিত

যেকোন সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আগামীকালের পর যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক,টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার কারণেই দেশ থেকে যেকোন সময়ে ব্যবসা গোটাতে হতে পারে এই সংস্থাগুলিকে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে মামলা পর্যন্ত করা হতে পারে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে।

সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া বিভিন্ন পোস্ট এর ওপরে নজরদারি করতে এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার আপত্তিকর ও বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার কারনে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে চিন্তা করেই এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট দেওয়া বন্ধ করতে ত্রিস্তরীয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দেশের প্রতিরক্ষা, বিদেশ, মহিলা ও শিশু কল্যাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিশিষ্টদের এই কমিটির সদস্য করা হবে বলে, জানা গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যুগ্ম সচিব পর্যায়ে এক প্রতিনিধিকে নিযুক্ত করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া আপত্তিকর কোনো পোস্টকে তিনি ব্লক করে দিতে পারবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের পক্ষ থেকে এক বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে। যিনি অবশই ভারতের বাসিন্দা হবেন। তার নাম ও পরিচয় সংস্থাগুলিকে অবশ্যই কেন্দ্রের কাছে জানিয়ে দিতে হবে। তাদের প্ল্যাটফর্মে যদি কোন বিতর্কিত, আপত্তিকর পোস্ট করা হয়। তবে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ করতে হবে তাকে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এজন্য সংস্থাগুলিকে তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল। আগামীকাল তার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। কিন্তু জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের সদর দপ্তর হল আমেরিকাতে। সদর দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।

এজন্য সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৬ মাসের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে অনেকেই মতামত দিচ্ছেন যে, এই সংস্থাগুলি যেহেতু ভারতে থেকে ব্যবসা করছে, তাই সেক্ষেত্রে সদরদপ্তরের নয় ভারতের নির্দেশ মেনে চলতে তারা বাধ্য। এবার কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে? সেটাই দেখার। তবে, আগামীকাল কেন্দ্রের দেওয়া মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারণে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ একাধিক সংস্থার এদেশে স্থায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!