এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে দু-সপ্তাহেই শেষ সমীক্ষার কাজ! পুজোর মধ্যে বাংলার ৭হাজার কিমি রাস্তা সারাই

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে দু-সপ্তাহেই শেষ সমীক্ষার কাজ! পুজোর মধ্যে বাংলার ৭হাজার কিমি রাস্তা সারাই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গ্রাম বাংলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙাচোরা রাস্তা লক্ষ্য করে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, পুজোর আগেই প্রাথমিকভাবে সমস্ত ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলতে। একান্তই যদি সম্ভব না হয় তবে আগামী একুশে জানুয়ারির মধ্যে গ্রাম বাংলার সমস্ত রাস্তা মেরামত করে ফেলতে এরপর থেকে তিনি কোনোভাবেই গ্রাম বাংলায় ভাঙাচোরা রাস্তা দেখতে ইচ্ছুক নন। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর শুরু হয় সমীক্ষা, যা শেষ হয় ২ সপ্তাহের মধ্যেই। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার রাস্তা জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন

দ্রুত রাস্তা মেরামতের নির্দেশ রাজ্যের পঞ্চায়েত, পূর্ত দপ্তরের কাছে মুখ্যমন্ত্রী যেমন রেখেছেন। তেমনি নতুন রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার পদ্ধতিতে বেশকিছু বদল ঘটতে চলেছে। জানানো হয়েছে এবার থেকে যে ঠিকাদার নতুন রাস্তা তৈরি করবে তারাই আগামী পাঁচ বছর এই রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে রাস্তার মেরামত করবে তারাই।

প্রসঙ্গত গত আগস্ট মাসের শেষদিকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম জেলার সহ বেশকিছু জেলার বেহাল রাস্তা জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি পঞ্চায়েত, পুত দপ্তরকে এই রাস্তা গুলো দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ মাস থেকেই রাস্তা মেরামতের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত সমীক্ষার কাজ শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পঞ্চায়েতের সমীক্ষায় উঠে আসা, জীর্ন হয়ে পড়া যে ৭০০০ কিলোমিটার রাস্তার জরুরি মেরামতের প্রয়োজন। তার মধ্যে গ্রাম বাংলার সড়ক যোজনা প্রকল্পর রাস্তাও আছে। দেখা গেছে, বেশ কিছু গ্রাম বা পাড়ার সংযোগকারী সিমেন্ট কিংবা পিচের রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। জেলা পরিষদের অধীনস্ত বেশ কিছু রাস্তারও মেরামতের প্রয়োজন আছে বলে জানানো হয়েছে। এই রাস্তা মেরামতের কাজে নামছে পঞ্চায়েত দপ্তরে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই কাজে।

প্রসঙ্গত গ্রামবাংলার অধিকাংশ রাস্তা পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের অধীনস্থ হলেও প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পূর্ত দপ্তরের অধীনস্থ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামবাংলা সড়ক যোজনা প্রকল্পতে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কিমি নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এই রাস্তা গুলো মেরামতের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

রাস্তার এই বেহাল হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ইঞ্জিনিয়ারের বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। অন্যান্য বছর বর্ষার আগে রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ মেরামত, পিচ ছড়ানো হলেও, লকডাউন এর কারণে এ বছর সেই কাজ ব্যাহত হয়েছে। অনেকটা সময় জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকায় রাস্তার উপর উপযুক্ত নজরদারি করা যায়নি। এরপর অম্ফানের ফলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি গ্রাম ও শহর মিলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার । যা মেরামতের জন্য ১২০০ কোটি টাকারও বেশি প্রয়োজন হবে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা জেলার রাস্তাঘাটের অবস্থা সবচেয়ে বিধ্বস্ত। ইতিমধ্যেই যেগুলির মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!