এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > উন্নয়ন নেই তাই ভোট বয়কট গ্রামবাসীদের, আগে কাজ তারপর ভোট, দাবিতে অনড় ঝাড়গ্রাম

উন্নয়ন নেই তাই ভোট বয়কট গ্রামবাসীদের, আগে কাজ তারপর ভোট, দাবিতে অনড় ঝাড়গ্রাম


সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে যখন তীব্র গরম উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বুথমূখি হচ্ছেন, যখন বুকভরা আশা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে প্রকৃত উন্নয়নের সরকারকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছেন সাধারণ জনতা, ঠিক তখনই ভোট উৎসব থেকে নিজেদের ব্রাত্য রেখে কিছুটা ব্যতিক্রম ভূমিকায় দেখা গেল জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভোটারদের। কিন্তু কেন ভোট উৎসব থেকে তারা নিজেদেরকে সরিয়ে নিচ্ছেন?

খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামচন্দ্রপুর গ্রামে ঢুকতে গেলেই রাস্তায় হোঁচট খেতে হয়। প্রতিটা রাজনৈতিক দল ভোটের আগে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই কবে যে রাস্তা মেরামত হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না কেউই। তীব্র দাবদাহে পানীয় জলে নিজেদের তৃষ্ণা মেটাতে সামান্য পাতকুয়োর ওপরই নির্ভর করে থাকতে হয় গ্রামবাসীদের। বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেখানে আলো জলে না।

এদিকে রাত যত বাড়তে শুরু করে, ততই হাতির আতঙ্কে প্রহর গুনতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরজি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর তাই বাধ্য হয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা থেকে নিজেদের ব্রাত্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, রামচন্দ্রপুর গ্রামের রামচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় যে একটি বুথ রয়েছে, সেখানে মোট ভোটার 740 জন। যেখানে ভোটের আগের দিন পরিষ্কারভাবে গ্রামবাসীদের তরফে পোস্টার এবং ব্যানার টাঙ্গিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “রামচন্দ্রপুর গ্রামে কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় এখানে ভোট বয়কট চলবে।”

এদিকে গোটা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে শনিবারই সেই রামচন্দ্রপুর গ্রামে আসেন স্থানীয় বিডিও অভিগ্না চক্রবর্তী এবং ঝাড়গ্রাম থানার আইসি জয়প্রকাশ পান্ডে। তবে প্রশাসনের তরফে এই ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা হলেও গ্রামবাসীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। তাদের একটাই দাবি, আগে উন্নয়ন, পরে ভোট।

এদিন এই প্রসঙ্গে রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মাহাত, দিলীপ পাতর, সবিতা মাহাতোরা বলেন, “আমাদের এলাকায় রাস্তা নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, আলো নেই, আমরা ভোট দিয়ে কি করব? আগে রাস্তার কাজ শুরু হোক, তারপর ভোট দেবো।”

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যখন রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তৃণমূল নেতা নেত্রী ও কর্মী সমর্থকদেরকে, ঠিক তখনই ঝাড়গ্রামে সেই অনুন্নয়নের জন্যই গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে নিজেদের ব্রাত্য রাখার কথা গ্রামবাসীদের মুখ থেকে শোনা যাওয়ায় এখনও যে বাংলার প্রত্যন্ত প্রান্তে অনুন্নয়নের ছোঁয়া রয়েই গেছে তা একবারটি সেই রামচন্দ্রপুর গ্রামে ঘুরে এলেই বোঝা যাবে বলে মত নেটিজনদের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!