প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোশাল মিডিয়ায় নানা রকম কুমন্তব্যের শিকার হতে হয় অনেক মানুষকে। সেই জায়গায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে থাকেন সেলিব্রিটিরা। আর সেলিব্রিটি হলে তো কথাই নেই। সেখানে শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের মানুষকেও হয়রানি সহ্য করতে হয়। সম্প্রতি এমনই ঘটনার শিকার হতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী শ্রাবন্তি চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এবার সেই সমস্যা তৈরি হয়েছে ক্রিকেট মহলে।

জানা গেছে, আইপিএলে বাবার খারাপ ফর্মের জন্য ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৫ বছরের কন্যা জিভা ধোনিকে। শুধু ধর্ষণের হুমকিই নয়, কীভাবে ধর্ষণ করা হবে, সেই বর্ণনাও ইনস্টাগ্রামে লিখতে দেখা গিয়েছিল এক কিশোরকে। যা নিয়ে সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বস্তুত, সামাজিক মাধ্যমে অশালীন মন্তব্য করার এই প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নেটিজেনদের মধ্যে। সেই সঙ্গে, যে এই কদর্য মন্তব্য করেছে, সোশাল মিডিয়ায় তার শাস্তির দাবিও উঠতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, অবশেষে নোংরা মানসিকতার সেই ‘নাবালক’কে গুজরাট থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জিভাকে নিয়ে কদর্য আক্রমণের শাস্তির দাবিতে যখন তোলপাড় গোটা নেট জগৎ, তখন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। সেই সঙ্গে ধোনির রাঁচির সিমালিয়ার ফার্ম হাউসের বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে, ওই জঘন্য কাজ করা ব্যক্তি গুজরাটের বাসিন্দা হিসেবে ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানতে পারে। এরপর ঝাড়খণ্ড পুলিশ যোগাযোগ করে গুজরাট পুলিশের সঙ্গে। আর তারপরই কচ্ছ জেলার মুন্দ্রা এলাকা থেকে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুজরাট পুলিশ ডেকে পাঠায় বলে জানা যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের সময় যে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তারপরই তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংসের পরাজয়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ শুরু হয় বলে জানা যায়। আর সেখানেই ধোনির স্ত্রী সাক্ষীকে অপমান জনক কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়নি ধোনির ছোট্ট মেয়ে জিভাকেও। তাকে নিয়েও কদর্য মন্তব্য করে গুজরাটের ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দায় সরব হতে দেখা যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের। ধোনি বা তাঁর দল পারফর্ম করতে পারছে না, সেজন্য এমন হীন ও কদর্য মন্তব্য কেউ করতে পারে না বলেই দাবি জানায় দেশের ক্রিকেট মহল। অবশেষে, সেই অপরাধী পুলিশের জালে ধরা পড়তে পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।