প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপিকে চাপে ফেলতে যখন একের পর এক রাজ্যে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের চাপে পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল নিজেদের ঘরে রাজনৈতিক ফসল তুলে নিতে সক্ষম হল। সম্প্রতি রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। হঠাৎ করেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

আর তারপরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আসতে দেখা যায় তাকে। আর তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে তার তৃণমূলে যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আসেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব। আর তারপরেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুস্মিতা দেবের গলায় তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরীয় পড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর আর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল যে, সুস্মিতাদেবী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলেন। স্বভাবতই যখন ভিন রাজ্যে ডানা মেলতে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস, তখন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় মহিলা সভানেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান ঘাসফুল শিবিরকে যে অনেকটাই মাইলেজ পাইয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে কংগ্রেস নেতৃত্ব যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেলেন। সুস্মিতা দেব কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তিনি কী করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আর তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, তিনি এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন। তবে অবশেষে এই ধরনের ফেসবুক পোস্টের পড়ে সেই জল্পনাতেই সীলমোহর পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার পর সুস্মিতা দেবকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয় কিনা ঘাসফুল শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।