এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জমায়েত রুখতে কঠোর রাজ্য, আন্দোলন রোখার পরিকল্পনা? বিরোধীদের দাবি ঘিরে জল্পনা!

জমায়েত রুখতে কঠোর রাজ্য, আন্দোলন রোখার পরিকল্পনা? বিরোধীদের দাবি ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা মহামারির কারণে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ থাকার জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ মিটিং, মিছিল এবং সমাবেশ।তবে ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে রাজ্য। একগুচ্ছ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগামী 15 জুলাই পর্যন্ত সকলকেই সচেতনতা মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে মিটিং, মিছিল এবং সমাবেশ করার ক্ষেত্রে 50 জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হচ্ছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। তাই এই অবস্থায় বিভিন্ন জেলাগুলোতে যেভাবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বা অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন হচ্ছে, তা দমন করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। যার ফলে বিরোধীদের একাংশ দাবি করছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন হওয়ার কারণে যথেষ্ট চাপে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণেই এই আইনকে সামনে রেখে এই ব্যাপারে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ।

সূত্রের খবর, 50 জন জমায়েতের কথা বলা হলেও, অনেক জায়গাতেই সেই বিধি লংঘন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, বিভিন্ন জায়গায় এমন কিছু কর্মসূচি করছে, যা সেই নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই গোটা বিষয়কে হাতিয়ার করে এবার বিভিন্ন জেলায় যাতে 50 জন জমায়েত পেরিয়ে গেলেই প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তার জন্য নির্দেশ দিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। তবে এই ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি দিতেও দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, কিছুদিন আগেই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক। কিন্তু তারপর করোনা বিধির আইনকে ভেঙে সেখানে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরেই বাইরে শত শত তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। কেন সেই সময়ে করোনা বিধি মান্যতা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না রাজ্য প্রশাসনকে? এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়াকে তুলে ধরে যখন বিরোধীরা করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে আন্দোলন করছে, তখন কেন তাকে আটকানোর পরিকল্পনা শাসক শিবিরের! এখন এটাই বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশ্ন হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। আর তারপরেই অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারের কাছে করোনা বিধি বড় হাতিয়ার?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, মঙ্গলবার ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সারা রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম। অন্যদিকে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করার কথা ভাবছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিক ভাবেই দুই বিরোধী দল যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শুরু করেছে, তাতে যথেষ্ট চাপে ঘাসফুল শিবির। তাই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে সমস্ত কিছু করা না হলে যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তার জন্য তৎপরতা গ্রহণ করতে দেখা গেল নবান্নতে। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী কণ্ঠস্বর দমানোর জন্য একটি প্রশ্ন ক্রমাগত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তুলে দিতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

যা সামাল দিতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। একাংশের মতে, যদি করোনা বিধি আইন সকলের জন্য হয়, তাহলে কেন শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা সেখানে ছাড় পাবে? কেন বেছে বেছে বিরোধীদের জমায়েতে আইনকে হাতিয়ার করা হবে! সব মিলিয়ে সরকারের তৎপরতা এবং করোনা বিধি পালনে জোর দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলাগুলোতে এই নির্দেশ বিরোধীদের কাছে বড় প্রশ্নচিহ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!