দপ্তর বন্টন নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ দুই দলের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠলো প্রশ্ন জাতীয় May 29, 2018 নানা বন্ধুর পথ পেরিয়ে বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রসে- জেডিএস জোট সরকারের হাতে কর্নাটকের ক্ষমতা এলেও,ইতিমধ্যে ঠান্ডা লড়াই এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে দলের অন্দরেই। ৭ দিনও হয়নি জেডিএসের তরফের কুমারস্বামী কর্নাটকের সিংহাসনে বসেছেন। তার ভিতরই কংগ্রেসের সঙ্গে মতপার্থক্য শুরু হল অর্থদপ্তর কার দখলে থাকব তা নিয়ে। কুমারস্বামী অর্থদপ্তর সহ পূর্ত,বিদ্যুৎ দপ্তরও জেডিএসের আওতায় রাখতে চাইছেন। এদিকে অর্থ দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রক হাতছাড়া করতে নারাজ কংগ্রেস। এই নিয়ে মনোমালিন্য চলছে জোটসরকারের দলীয় কর্মীদের ভিতরই। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, উক্ত বিষয় নিয়েই নাকি কুমারস্বামী এদিন তিন ঘন্টা ধরে আলোচনা করেন কংগ্রসে নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে,আজাদের বাসভবনেই। প্রস্তাব দিয়েছেন কুমারস্বামী অর্থদপ্তরকে জেডিএসের আওতাধীন করার। তবে স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রস্তাব মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা কংগ্রেসের থাকায় অর্থদপ্তর যে তাঁদের পাওয়া উচিৎ,এমনটাই যুক্তি দিয়েছেন আজাদজী। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে একবার প্রবীন এবং অভিজ্ঞ দলের নেতা দেবেগৌড়ার সঙ্গে আলোচনা করে মতামতা দেবেন বলেই জানিয়েছেন। তবে কর্নাটকের পরিসংখ্যান সামনে আনলো অন্য তথ্য। ইতিহাস ঘেটে দেখা গেলো অর্থদপ্তরের হকদার সবসময়ই থেকেছে উপমুখ্যমন্ত্রী। ২০০৪-২০০৬ সালে অর্থদপ্তর ছিল কংগ্রস-জেডিএস জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার দায়িত্বে। সেই সূত্র মেনেই ২০১৮ সালের কংগ্রেস-জেডিএস জোটের অর্থ দপ্তর যাওয়া উচিৎ উপমুখ্যমন্ত্রীর ঘাঁটিতে। আর যেহেতু বর্তমান কংগ্রস জেডিএস জোটসরকার উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব শপেছেন একজন কংগ্রস বিধায়ককে তাই কংগ্রসেই পাবে অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব। কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য কংগ্রেসকে কৃতজ্ঞতা জানালেও কিছুতেই অর্থ দপ্তর তাঁদের দিতে চাইছেন না। এমনটাই জানা যাচ্ছে কর্নাটকের রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আপনার মতামত জানান -