এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > জোট নিয়ে বাড়ছে ঘোঁট? বাংলা থেকে বাম-কং মুছে যেতেই প্রশ্নের মুখে সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ?

জোট নিয়ে বাড়ছে ঘোঁট? বাংলা থেকে বাম-কং মুছে যেতেই প্রশ্নের মুখে সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবার বহু স্বপ্ন দেখেছিল বাম- কংগ্রেস। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা যেমন জোট করেছিল, ঠিক তেমনই সেই জোটে অংশগ্রহণ করেছিল নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল আইএসএফ। প্রথম থেকে সেই জোটের মধ্যে জটিলতা বৃদ্ধি পেলেও, তাদেরকে যে একাট্টা হয়ে লড়তে হবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিন দলের নেতারাই। শেষ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের মতামত অনুযায়ী প্রার্থী দিয়ে ব্যাপক লড়াই করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু 2016 সালে তারা কিছুটা মুখরক্ষা করলেও 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে আইএসএফের একজন প্রতিনিধি বাদে বাম এবং কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পা রাখতে পারেননি। আর এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে এই সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ কি হবে? হেভিওয়েট তাবড় তাবড় সিপিএম নেতা এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে গিয়েছেন।

মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কংগ্রেস নেতারাও। আর এই পরিস্থিতিতে আইএসএফ শুধুমাত্র একটি আসন পেয়ে রাজ্য বিধানসভায় পা রাখলেও, তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব কতটা গ্রহণযোগ্য থাকবে গোটা রাজ্যজুড়ে! তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এখন সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফের নেতৃত্বদের মধ্যে।

জানা গেছে, ব্যাপক ভরাডুবির পর বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের মধ্যে আইএসএফকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারা দুই দল জোট করে লড়াই করলেও, আইএসএফকে সেই জোটে অংশগ্রহণ করানোর কারণেই তাদেরকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিতে শুরু করেছিল তৃণমূল এবং বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেই যে তাদের এই ভরাডুবি হল, তা ইতিমধ্যেই বাম এবং কংগ্রেসের আলোচনায় কিছুটা হলেও উঠে এসেছে বলে খবর।

আর এই গোটা ঘটনা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, তাহলে আগেভাগে এই বিষয়টি কেন ভাবতে পারেনি দল? কেন এখন বিলম্বিত বোধোদয় হতে শুরু করেছে? অনেকে বলছেন, 2011 সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যখন বামেদের করুন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল, তখন থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। কিন্তু সেভাবে নতুন প্রজন্মকে যে দলের নেতৃত্বে জায়গায় আনতে হবে, তা অনুভব করতে পারেনি বামফ্রন্ট।

পরবর্তীতে তাদের অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে যে, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে হয় তাদের। কিন্তু সেখানেও খুব একটা লাভবান হয়নি দুই রাজনৈতিক দল। পরবর্তীতে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে আরও করুণ দশা হয়ে পড়ে বাম এবং কংগ্রেসের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এসে এইপ্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটিও প্রতিনিধি পাঠাতে পারল না কাস্তে-হাতুড়ি শিবির এবং হাত শিবির। সেদিক থেকে প্রথম রাজনৈতিক দল গঠন করে সংযুক্ত মোর্চায় অংশ নিয়ে একটি প্রতিনিধি পাঠিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের থেকে কিছুটা হলেও লাভবান আইএসএফ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে ব্যাপক ভোটে পরাজিত হলেও এবং বিধানসভায় একটি প্রতিনিধি পাঠাতে না পারলেও, মানুষের সঙ্গে যাতে জনসংযোগ রাখা যায়, তার জন্য সওয়াল করছেন সিপিএম নেতারা। এক্ষেত্রে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রেড ভলেন্টিয়ার্সের মধ্যে দিয়ে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠন, তা যাতে অব্যাহত রাখা যায়, তার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে দলের ওপরতলা থেকে।

একইভাবে কেন এইরকম ফলাফল হল! তা নিয়ে রাজ্যের নেতাদের মতামত নিতে শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাই এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এবং সিপিএম নিজেদের মধ্যে ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা যখন করতে শুরু করেছে, তখন একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাহলে কি হবে সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ? তাহলে কি এবার বাম, কংগ্রেস পৃথক পৃথকভাবে লড়াই করবে?

নাকি এই জোট প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রেখে নিজেদের রাজনৈতিক রণকৌশল একসাথে সাজাতে দেখা যাবে তিন রাজনৈতিক দলকে? বিশ্লেষকরা বলছেন, জোট করেও যখন কোনো লাভ হল না, তখন পৃথক হওয়ার ব্যাপারে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে এই তিন রাজনৈতিক দল। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ তাদের পরবর্তী ভবিষ্যৎ ঠিক করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!