এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য!

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো। যার জেরে একেবারে সম্মুখ সমরে এসে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য বনাম কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্য সরকারের হাতে বিশেষ ক্ষমতা না থাকার কারণে সেই সময় রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিকভাবে তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি।

তবে নিজের সভা-সমিতির মধ্য দিয়ে পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে শীতলকুচি গুলি চালানো কান্ড ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তদন্ত করে দেখবে রাজ্য সরকার। আর তার কথা মতই কাজ হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পরেই শীতলকুচি ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই ঘটনার পরে এখন কার্যত ঝড়ের বেগে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে তদন্ত। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষকে জেরা করে নিজেদের তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। আর এই ব্যাপারে বারবার ডাকা হচ্ছে গুলি চালানোর ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার দিন কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানদের। কিন্তু এখানেই উঠতে শুরু করেছে অভিযোগ।

রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে জেরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না সিআইএসএফ জওয়ানরা, এমন অভিযোগে বর্তমানে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে শীতলকুচির ঘটনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে গত এপ্রিল মাসের 10 তারিখে 126 নম্বর শীতলকুচি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনায় মৃত্যু হয় চারজন সাধারণ মানুষের। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আচমকা হঠাৎ করেই 300 থেকে 400 জন গ্রামবাসী তাদের ঘিরে ধরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি সামলাতেই তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হতে পারে। যে কারণে যথেষ্ট তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই তদন্তের স্বার্থেই বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ডাকা হলেও, তারা সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যার ফলে তদন্তকারীরা এবার সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে এবার রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা যদি আদালতের দ্বারস্থ হয়, তাহলে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ নয়া মাত্রা করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, সিআইএসএফ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা বাহিনী হওয়ায় রাজ্য সরকারের সরাসরি চাপ তাদের উপরে খাটে না।

এক্ষেত্রে প্রকৃতই যদি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেই সমস্ত জওয়ানরা তদন্তে অসহযোগিতা করে, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া রাজ্যের কাছে অন্য কোনো উপায় খোলা নেই। এমতাবস্তায় তাই সিআইএসএফ জওয়ানদের হাজিরা দেওয়ার শেষ পন্থা বেছে নিল সিআইডি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!