এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > সিপিএমের বিকাশ কি বিজেপি পথে? একের পর এক মামলায় উদ্যোগ নিয়ে তৈরি জল্পনা!

সিপিএমের বিকাশ কি বিজেপি পথে? একের পর এক মামলায় উদ্যোগ নিয়ে তৈরি জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিশিষ্ট আইনজীবী এবং পোড়খাওয়া সিপিএম নেতা হিসেবেই পরিচিত তিনি। কিন্তু বর্তমানে তার একের পর এক পদক্ষেপ এবং মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সিপিএমের দাপুটে নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য যেমন তৃণমূলের বিরোধী, ঠিক তেমনই সমানভাবে বিজেপিরও বিরোধী। এমনকি রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা অর্জন করার পেছনে সিপিএমের অবদান রয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন অনেকে।

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলন করে সিপিএমের উঠে আসা উচিত বলে দাবি করছেন বামপন্থী নেতা-কর্মীরা। আর তার মাঝেই আইনজীবী হিসেবে হেভিওয়েট সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি উদ্যোগ তার বিজেপি ঘনিষ্ঠতার জল্পনাকে বৃদ্ধি করে বলেই দাবি একাংশের। জানা গেছে, রাজ্য বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি লেখা হয়েছে।

আর রাজ্য বার কাউন্সিলের এই আবেদনের আপত্তি জানিয়ে পাল্টা দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। স্বাভাবিক ভাবেই সরাসরি রাজ্যের বিরোধিতা করে পরোক্ষে এরকম উদ্যোগ নিয়ে বিজেপির হাতেই বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিলেন হেভিওয়েট এই সিপিএম নেতা বলেই দাবি করছেন একাংশ। যার ফলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অশোক দেব। যেখানে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর এরপরই রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের এই আবেদনকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে পাল্টা তার বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, “যেহেতু রাজ্যের বার কাউন্সিল গোটা রাজ্যের আইনজীবীদের প্রতিনিধিত্ব করে, তাই তার আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করা উচিত। কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এই ধরনের কোনো চিঠি লেখার এক্তিয়ার বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের নেই, তা তার জানা উচিত। তাই আমি সিআইজির কাছে অনুরোধ করব, আইনজীবী অশোক দেবের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে।” আর বিকাশবাবুর মত হেভিওয়েট সিপিএম নেতা তথা পোড়খাওয়া আইনজীবীর এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

কেননা এর আগেও রাজ্যের হেভিওয়েট দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের সিবিআই গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে যখন রাজ্যের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারিকে অবৈধ বলা হয়েছিল, এখন বিকাশবাবু কিন্তু সরাসরি সিবিআইয়ের পক্ষেই দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতিও আবশ্যক নয় বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় বিকাশবাবুকে। আর এরপরই সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আপত্তি জানানোর পরই বিকাশবাবুর এই ধরনের মন্তব্য রীতিমতো কৌতূহল তৈরি করেছে বিশেষজ্ঞদের অন্দরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দল থেকে দলত্যাগ এবং যে কোনো দলে যোগদান জল-ভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে যে কোনো নেতার মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলছেন, মন্তব্যের পরেই শুরু হয় ঘনিষ্ঠতা। আর ঘনিষ্ঠতার পরেই শুরু হয় যোগদান পর্ব। তাই শুধু মন্তব্যই নয়, বিকাশবাবুর রীতিমতো পদক্ষেপের পরে রাজ্য রাজনীতির মধ্যে যে দলবদলের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়বে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এখন বিকাশবাবুর এই ধরনের মন্তব্যের পরে ঘটনার গতিপ্রকৃতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!