প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি নেতা কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভ যেরকম তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের ওপর দেখিয়ে আসছেন, ঠিক সেভাবেই তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপর। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজ্যে উর্দিধারীদের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করেন। এমনিতেই অবশ্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলার রাজনীতিতে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য সব সময় সংবাদ শিরোনামে থাকেন।

তবে করোনা পরিস্থিতিতে সমাজের সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধাদের যখন আক্রমণ করা হয়, তা নিয়ে কিন্তু সমালোচনাও হয়। এদিন উত্তর চব্বিশ পরগণার কামারহাটিতে একটি দলীয় সভায় এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও রাজ্যের উর্দিধারীদের তীব্র কটাক্ষ করলেন। এদিন কামারহাটি থেকে তিনি বলেন, যারা তৃণমূলকে কাটমানি নিতে সাহায্য করছেন, তাঁরাই রাজ্যে কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি উর্দিধারীদের হুঁশিয়ারি দেন, ক্ষমতায় আসলে দেখে নেবেন।

এবার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, আর মাত্র 6 মাস পরেই বিজেপি রাজ্যের মসনদ দখল করতে চলেছে। উল্লেখ্য, কামারহাটি অঞ্চলে এদিন প্রায় 500 জন বিজেপিতে যোগদান করেন। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির আতমবিশ্বাসের তুঙ্গে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের দিলীপ ঘোষ হুমকি দেয়, তাঁদের স্ত্রী সন্তানের মুখ দেখতে দেবেন না বলে।

তাই নিয়ে পাল্টা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান টুইটারে। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির কোন বদল হয়নি। কারণ, সম্প্রতি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখেও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে হুমকি বার্তা শোনা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই ক্রমশ জোরদার হচ্ছে রাজ্যে। আর সেদিকে নজর দিয়ে বলাই যায় কটাক্ষ, প্রতি কটাক্ষের জোর আরও বাড়বে। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, দিলীপ ঘোষ রাজনৈতিক যুদ্ধে নেমে সবার নজরে আসতেই এধরনের মন্তব্য করেন প্রায়শই। তবে রাজ্যের উর্দিধারীদের যেভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি প্রতিনিয়ত, তা নিয়ে কিন্তু সমাজের সর্বস্তরেই ধীরে ধীরে এবার ক্ষোভ জমছে বলে মনে করা হচ্ছে।