এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “তৃণমূলনেত্রী পাগল হয়ে গিয়েছেন, শুদ্রদের বোধশক্তি কম।” – এবার বিতর্কিত মন্তব্য প্রজ্ঞার

“তৃণমূলনেত্রী পাগল হয়ে গিয়েছেন, শুদ্রদের বোধশক্তি কম।” – এবার বিতর্কিত মন্তব্য প্রজ্ঞার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রবিবার এক জনসভা থেকে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একহাত নিলেন। কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাগল হয়ে গিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর আরো জানিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন এটা পাকিস্তান নয়, এটা ভারত। হিন্দুরা ভারতকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। তাঁরা উপযুক্ত জবাব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

গতকালের এই জনসভা থেকে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর আরো জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়লাভ করবে বিজেপি। তারপর, এই রাজ্যে হিন্দু রাজ কায়েম করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, তাঁর শাসন শেষ হয়ে এসেছে। তাই পাগল হয়ে গিয়েছেন তিনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে। যেখানে তিনি জানালেন, ” শুদ্রদের বোধশক্তি কম। একজন ক্ষত্রিয়কে ক্ষত্রিয় বললে সে রাগ করে না। একজন ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণ বললে সে রাগ করে না। একজন বৈশ্যকে বৈশ্য বললে সে রাগ করে না। কিন্তু শুদ্রকে শুদ্র বললে তার খারাপ লাগে। এর কারণ কী। কারণ তারা বুঝতে পারে না। ”

ইতিপূর্বে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। গত ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে তিনি ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এদিকে লোকসভায় বিতর্ক চলাকালীন একবার তিনি গান্ধীজীর হত্যাকারীর নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তাঁর এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ক্ষমা করতে পারবেন পারবেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী তিরস্কার করেছিলেন তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে ছিল বিজেপির দলীয় কর্মসূচি। সেদিন ডায়মন্ডহারবারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে হামলা হয় তার কনভয়ে। সেই সঙ্গে বিজেপির বহু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতার গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করে প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত হামলা নয়তো?

এরপর গত শুক্রবার এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা দিন দিন খারাপ হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কখনই মেনে নেওয়া যায়না। রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনকে তিনি একাধিকবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কিন্তু এর পরও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এর ফলে রাজ্যে সংবিধান মেনে সরকার চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, গণতন্ত্রে সকলের স্থান আছে। সকলেই নিজের মতামত জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে সরকার কখনোই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু সেদিন তা মানা হয় নি।

অন্যদিকে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা অভিযান প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন যে, শিলিগুড়িতে বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানো হয়েছিল। যারা আইন ভঙ্গ করেছিল সরকার তাদেরকে সাহায্য করেছিল। পরবর্তীতে তিনি বলেছিলেন যে, সেদিন ছিল মানবাধিকার দিবস। সারাবিশ্ব সেই দিনটি পালন করেছিল। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে মানবাধিকার রক্ষা করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে তিনি উদ্বেগজনক বলে মনে করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!