এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভার পরেই নবান্নে পালাবদল? বিজেপি নেতার মন্তব্যে ঘুম উড়লো মমতার!

লোকসভার পরেই নবান্নে পালাবদল? বিজেপি নেতার মন্তব্যে ঘুম উড়লো মমতার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির ঘটনার পর মানুষের ধৈর্যের বাঁধ আর মানছে না। সকলেই অপেক্ষা করছেন, কবে এই সরকারের রাজত্ব থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ যে অবস্থা এই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে এই সরকার করছে, যেভাবে দিকে দিকে তৃণমূল নেতারা মহিলাদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করছেন, তাতে সত্যিই এই রাজ্যের শাসক দলকে বলার মত আর কোনো ভাষা নেই। তারা এতটাই জঘন্য, এতটাই নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়েছেন এই সন্দেশখালীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রাজ্যে আজকে সর্বস্তরের মানুষ অবহেলিত। তাই এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানার লাগিয়ে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা, সেই দিকে সহানুভূতি দেওয়া তো দূরের কথা, রাজ্য বাজেটে চার শতাংশ ডিএর ঘোষণা করে আবার তাদের কাছে টানার চেষ্টা করছে এই রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সামান্য ডিএর ঘোষণা করেও কেন্দ্রের সঙ্গে তো প্রতিযোগিতা অনেক দূরের কথা, ধারেকাছেও যেতে পারবে না এই রাজ্যের সরকার।

তাহলে লাভের লাভটা কি হলো? আর সেই বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে 2025 এই রাজ্যে পরিবর্তন হবে এবং নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা। আর তার এই মন্তব্যের পর রীতিমত নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ যে সরকারটা চলছে, সেই সরকারের মেয়াদ তো আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত। তাহলে তার আগেই কি রাজ্যে নতুন করে ক্ষমতার পালা বদল ঘটতে চলেছে! ভেঙে যেতে চলেছে তৃণমূল সরকার! নাকি এমন কিছু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের পরে, যাতে তৃণমূল আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না! কি বোঝাতে চাইলেন এই বিজেপি নেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এমন একটি মন্তব্য করেন, যা নিয়ে চরম জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৫ এই নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তারপরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি সঠিক সময়েই নির্বাচন হয়, তাহলে তো ২০২৬ এর মে মাসের আগে তৃণমূল সরকার বিদায় নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলের আশা করছে! আর সেই ভালো ফলকে হাতিয়ার করেই আগামী দিনে কি তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরবে! সমস্ত বিধায়করা যোগদান করবে বিজেপিতে? আর তারপরেই কি বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে, নাকি এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্র এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে লোকসভা নির্বাচনের পরে, যার ফলে ভেঙে যাবে তৃণমূল সরকার! এই সমস্ত প্রশ্নই কিন্তু শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর ক্রমশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বাংলার মানুষের কাছে মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই তৃণমূলের। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। মানুষের কাছে তারা প্রত্যাখ্যাত। সেই কারণেই আজকে সাধারণ মানুষ এই তৃণমূলের শাসন থেকে রক্ষা পেতে চাইছেন। লোকসভায় এই রাজ্যে সব জায়গায় পদ্মফুল ফুটবে। আর আগামী দিনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন যে, তার পক্ষে আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তার হাত থেকে সবকিছু বেরিয়ে যাচ্ছে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই রাজ্যের সরকারের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের পরেই হয়ত তেমন কিছু ঘটে যেতে পারে পালাবদল নিয়ে। হয়ত বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এইরকম কোনো খবর রয়েছে বা তারা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্র কোনো বড় স্টেপ নিতে পারে এই আশায় রয়েছেন। শুধু কি তাই, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে লোকসভায় ব্যাপক জয়ের আশা করছে বিজেপি এই বাংলা থেকে। আর প্রচুর সংখ্যক আসন বিজেপি যেটা আশা করছে, সেটা যদি তারা পেয়ে যায়, তাহলে এমনিতেই পদ্মফুলে যোগ দিতে শুরু করবেন অনেক হেভিওয়েট। আর তার ফলেই আগামী দিনে নির্ধারিত সময়ের আগেই পড়ে যেতে পারে তৃণমূল সরকার। শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!