এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেবকে নিয়েই নাচানাচি করুন ! ঘাটালে বিজেপির জয় নিশ্চিত, বড় দাবি শুভেন্দুর !

দেবকে নিয়েই নাচানাচি করুন ! ঘাটালে বিজেপির জয় নিশ্চিত, বড় দাবি শুভেন্দুর !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেবকে নিয়ে কতই না নাটক হলো! তিনি নাকি দল ছেড়ে দেবেন, তাকে নিয়ে জল্পনা! কতই না খবর করলো অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা। কিন্তু এই সব কিছুই যে তৃণমূলের একটা নাটক ছিল, রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা সন্দেশখালি থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই যে দেবকে নিয়ে একটা চিত্রনাট্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করতে চেয়েছিলেন, তা যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিরোধীদের কাছে। আর এসবের মধ্যেই শনিবার দেবের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকাই বলে খবর। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা জানিয়ে দেন, রাজনীতি তিনি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি তাকে ছাড়বে না। অর্থাৎ তিনি ইঙ্গিত দিয়ে দেন যে, তিনি আবার ভোটে দাঁড়ালেও দাঁড়াতে পারেন।

তবে তিনি কি করবেন, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু প্রত্যেকবারের মত এবারও সেলিব্রিটি মুখকে দাঁড় করিয়ে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবেন যে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র জিতে যাবেন, তাহলে অন্তত তার এবারের ভাবনা ভুল হতে চলেছে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে নিজেদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে কেউ এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্তত পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলকে সমর্থন করবেন না। এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আর এই পরিস্থিতিতে দেব দাড়াক বা না দাড়াক, তৃণমূলে থাকুক বা না থাকুক, তাতে যে বিজেপির কিছু এসে যায় না, তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে তিনি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে এমন এক কথা বললেন, যার পর চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূলের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন দেবের ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্যের পরেই একাংশ বলতে শুরু করেন যে, তাহলে হয়ত দেব আবার তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন‌। আর সেই বিষয় নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কাঁচকলা হবে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি দু লক্ষ ভোটে জিতবে। দেশের মানুষ এত পাগল নয় যে, অন্য কারও হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে! সকলেই নিজের সুরক্ষা চায়। কেউ চায় না নিজের দেশ ইউক্রেন, ইজরায়েল হয়ে যাক।” অনেকে বলছেন, ভারতবর্ষ কিন্তু এখন ঐক্যবদ্ধ। বর্হিশত্রুরা এখন ভারতবর্ষকে আক্রমণ করতে এলেও দুবার ভাবতে হচ্ছে তাদের। কারণ দেশে একজন শক্তিশালী নেতা রয়েছে। যার নাম নরেন্দ্র মোদী। তাই আগামী দিনে দেশকে বাঁচাতে হলে বিজেপির কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে আবার যে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই পথে পা বাড়াবে, নাকি তৃণমূলের মত বিপদজনক দলকে এনে নিজেদের বিপদ নিজেরাই বাড়াবে, সেটা সময় বলে দেবে। তবে বাংলার মানুষও যে দেশের মানুষের সঙ্গেই সন্দেশখালীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূলকে আর সমর্থন করবে না, সেই বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত হয়েই এদিনের এই বক্তব্য রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, সেলিব্রিটি মুখকে দাঁড় করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কাজ হাসিল করতে পারবেন না। ঘাটালের মানুষের কাছ থেকে এতদিন হাসিমুখে ভোট নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সাংসদ থাকাকালীন একটাও কাজ করেননি দেব। আগামী দিনে তৃণমূলের জামানত জব্দ হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালি যেভাবে জ্বলছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল ভয় পেয়েছে। তাই তিনি ভেবেছিলেন যে, দেবকে নিয়ে যাতে একটা চর্চা হয়, সংবাদ মাধ্যমের নজর যাতে সেদিকে থাকে। কিন্তু সকলেই তো অনুপ্রাণিত মিডিয়া নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার কণ্ঠরোধ করতে পারেননি। ফলে তার নাটকটা এবার ধরা পড়ে গিয়েছে। আর এসব দেখে শুভেন্দু অধিকারীও বুঝে গিয়েছেন তৃণমূলের চালাকিটা। কিন্তু এই সামান্য নাটক করে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে থাকেন, তিনি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখতে পারবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। দুই দুবার হয়ত দেবকে দাঁড় করিয়ে তিনি এই লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু এবার মানুষ আর সেলিব্রিটি মুখকে চায় না। চায় উন্নয়ন। তাই সেই উন্নয়নের জন্যেই বিজেপির ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!