এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে অপমান, মান সম্মান গেল তৃণমূল বিধায়কের! উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি!

শুভেন্দুকে অপমান, মান সম্মান গেল তৃণমূল বিধায়কের! উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনৈতিক ভাবে তো পেরে ওঠা যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীকে তো আটকানো যাবে না। কারণ তার কাছে তো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী গোহারা হেরে বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাই তাকে গণতান্ত্রিক ভাবে এবং রাজনৈতিক উপায়ে আটকাতে না পেরে এবার কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করার চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেসের। বাইরে সভা সমিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে যা খুশি তাই বলেন তৃণমূলের চুনোপুটি নেতারা। কিন্তু এবার ভরা বিধানসভায় তাকে চোর বলে আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। আর তারপরেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একেবারে মোক্ষম জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের রুচিহীন অপসংস্কৃতির জবাব তিনি খুব ভালো করেই দিতে জানেন। বাংলা ভাষায় একটা কথা আছে, ভালো ব্যবহার করলে তাকে সোনার পালঙ্কে রাখা যায়। কিন্তু কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে তাকে তার ভাষাতেই জবাব দিতে হয়। তাই শুভেন্দু অধিকারীও এদিন সেই ফর্মুলা প্রয়োগ করে তৃণমূল বিধায়ককে যে পাল্টা আক্রমণ করেছেন, তাতে সত্যিই সাবাসি না দিয়ে পারছেন না রাজ্যের গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবাদ করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আর সেই সময় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে “চোর” শব্দ প্রয়োগ করেন তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায়। আর তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তোর বাপ চোর।” তবে সেই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। কারণ এই রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের যা সংস্কৃতি, তাদের ভাষাতেই তিনি তার জবাব দিয়েছেন। আর সত্যিই তো তাই! যার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস, তাকে উদ্দেশ্য করে কেন “চোর” স্লোগান দেওয়া হবে! তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন, তারা এই শুভেন্দু অধিকারীর জন্যই একসময় বিধায়কের টিকিটটা পেয়েছেন। কিন্তু আজকে তার অবদান ভুলে গিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। তবে শুভেন্দুবাবু অবশ্য ছেড়ে দেওয়ার লোক নন। তাই ভরা বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায় একেবারে মুখ খাওয়া হয়ে গেলেন। অনেকে বলছেন, দেখ কেমন লাগে!

বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী এই কথা বলে কিছু ভুল করেননি। তৃণমূল এই রাজ্যের সংস্কৃতি এবং রুচিকে প্রতি পদেপদে নষ্ট করছে। বিরোধী দলনেতা পদের সম্মান পর্যন্ত তারা দিচ্ছে না। তাই তাদেরকে যে ভাষাতে আক্রমণ করা উচিত, শুভেন্দুবাবু সেটাই করেছেন। এতদিন সেটিং করা বিরোধী দলনেতা ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দল বিজেপি সেটা নয়। চোখে চোখ রেখে লড়াই হচ্ছে বলেই তৃণমূলের পায়ে কাটা ফুটছে। তাই তারা এই ধরনের কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করে নিজেদের বিপদ নিজেরাই বাড়াচ্ছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বাম আমলের শেষের দিকেও সিপিএম নেতাদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তারা একের পর এক কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন। আর এসব তারা যত বেশি করেছিলেন, ততই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। তাই বর্তমানে সেই তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে এবং বিজেপিকে দেখে ভয় পাচ্ছে। ফলে এইরকম কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করছে। আর এটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। যত তৃণমূল এবং তাদের বিধায়করা এই ধরনের রুচিহীন অপসংস্কৃতির পরিচয় দেবেন, ততই তারা মান সম্মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়বেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!