প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একেবারে পুজোর মুখেই বানভাসি রাজ্যের একাধিক জেলা। কোথাও বাঁধ ভেঙে পড়েছে, কোথাও জলের তলায় চলে গেছে চাষের জমি, রাস্তাঘাট। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, যদি বৃষ্টির জন্য রাজ্যে বন্যা হতো, তাহলে বোঝা যেত যে, বৃষ্টি বেশী হচ্ছে, সেটাকে রাজ্য সামলাচ্ছে। কিন্তু বন্যা হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য। রাজ্যের এই পরিস্থিতিকে ম্যান মেড ফ্লাড বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্য কেন বারবার বন্যার কবলে পড়ছে? এবার এর গোপন কারণটি সামনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে, সমস্ত রাজ্যকে ভাতায় পরিণত করে ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ত দপ্তর স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার কোনো অর্থ খরচ করছে না। তিনি জানান, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ০২১-২২ এ সেচ, জলপথ, পরিবহন দপ্তরের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার? কত টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার? সে সমস্ত কিছু দেখালেই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী আরো জানান যে, তিনি একসময় সেচ দপ্তরে কাজ করেছিলেন। ডিভিসি কখনোই একার সিদ্ধান্তে জল ছাড়ে না। এই কমিটিতে সেচ দপ্তরের সচিব, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওয়েস্টার্ন সকলেই আছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রথম বন্যাতে খানাকুল, আরামবাগ , পুড়শুড়া ভেসে গিয়েছিল কিন্তু এরপরও মুখ্যমন্ত্রী কেন বাঁধের মেরামত করান নি?এভাবেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যান মেড ফ্লাড বলে যখন কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির প্রকৃত কারণটি সামনে এনে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর নিমেষের মধ্যেই প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রাজ্য সরকারকে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।