এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেষ্ট আর এক নয়, মাঠে নেমে পড়েছে লুকিয়ে থাকা বাকি কেষ্টরা, তৃণমূলের জন্য কি অশনি সংকেত!

কেষ্ট আর এক নয়, মাঠে নেমে পড়েছে লুকিয়ে থাকা বাকি কেষ্টরা, তৃণমূলের জন্য কি অশনি সংকেত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টতৃণমূলের অন্দরে এতদিন সবথেকে বেশি বিতর্ক হত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য ঘিরে। নির্বাচন আসলেই বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডলের নানা মন্ত্যব্য ভোটের রাজনীতিতে অস্বস্তিতে ফেলত শাসক দলকে।

কিন্তু সামনে যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, তখন অনুব্রত মণ্ডলের মতই নানা জেলার একাধিক তৃণমূল নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য সামাল দিতে হচ্ছে শাসক দলকে। আর এই গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এতদিন বীরভূম জেলার এক কেষ্টকে সামাল দেওয়া কিছুটা সহজ হলেও, এখন জেলায় জেলায় কেষ্ট তৈরি হওয়ায় রীতিমত চাপ বাড়ছে শাসক দলের ওপর।

কোচবিহারের মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে উদয়ন গুহ, হুগলির প্রবীর ঘোষাল থেকে শুরু করে হরিপালের বেচারাম মান্না! একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হচ্ছেন। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে। তা শাসকদলের অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে করে দেওয়ায় বিরোধীরা নতুন হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নতুন মুখদের এনে সংগঠনকে বিধানসভা নির্বাচনের আগের চাঙ্গা করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলার সংগঠনে পরিবর্তন আনা সত্ত্বেও একের পর এক বিধায়ক প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। কেউ বলছেন, এবার দুর্নীতি কমানো উচিত। আবার কেউ বা বলছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা সভাপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই দলের ভেতরে যে সমস্ত মন্তব্য করা উচিত, তা প্রকাশ্যে করে দলেরই বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের এই সমস্ত বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিরোধীদের কেন্দ্র করে যে বিতর্কিত মূলক মন্তব্য করতেন, তার একধাপ উপরে উঠে বিভিন্ন জেলা তৃণমূল বিধায়ক দলের শৃঙ্খলা সম্পর্কে বাইরে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর এই সমস্ত কিছু দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি এখনই তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রবণতাকে আটকাতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের অনেকটাই অসুবিধায় পড়তে হবে। কেননা এবারের বিধানসভা নির্বাচন শাসক দলের পক্ষে খুব একটা সহজ নয়। দিনকে দিন বিজেপি তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে জনপ্রতিনিধিরা না বলে যদি প্রতিনিয়ত দলের বাইরে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেন, তাহলে অস্বস্তি বাড়বে।

শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সমস্ত বিধায়কদের বিদ্রোহকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা আরও বেশি করে পথে নেমে শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেবে। সব মিলিয়ে এখন দলের হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কদের বিতর্কিত মন্তব্য আটকাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!