এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু খাবারের লোভ দেখিয়ে চলছিল নাবালক পাচার চক্র! খোদ কলকাতার বুকে হল পর্দাফাঁস! জেনে নিন

শুধু খাবারের লোভ দেখিয়ে চলছিল নাবালক পাচার চক্র! খোদ কলকাতার বুকে হল পর্দাফাঁস! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- হিউম্যান ট্রাফিকিং মানব পাচার চক্র বলতে জোর করে শ্রম, যৌন ব্যবসা, বাণিজ্যিকভাবে দাসত্ব করানোকে বোঝায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষকে জোর করে উপরিউক্ত কাজগুলিকে করানোকে বোঝানো হয়। মানব পাচার বলতে সাধারণত এই কাজগুলি করানোর জন্য একই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরকে বাণিজ্যকরনের বস্তু হিসেবে প্রেরণ করার রীতিকে বোঝায়। বর্তমানে এটি একটি অপরাধমূলক কাজ বলে মনে করা হয় তবে এক্ষেত্রে ওই মানুষটির অন্য কোনোখানে কাজে নিয়োগ, পরিবহন, স্থানান্তর, বলপূর্বক প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কাজ করানো, অপহরণ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শোষণ প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজকে বোঝানো হয়। সারাবিশ্বে বেশিরভাগ নারী এবং শিশুরাই এই পাচার চক্রের মূল উপাদান বলে মনে করা হয়।

সম্প্রতি এমনই একটি নাবালক পাচার চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। আর সেই পাচার চক্র বসেছিল কলকাতারই বুকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন নাবালককে বিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা নিয়ে আগেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই অনুযায়ী এদিন সকালে স্ট্র্যান্ড রোডে সময়মত পুলিশ ওত পেতে ছিল। এমন সময় দূরপাল্লার বাস থেকে নামতেই সন্দেহভাজন তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে। ধৃতরা হল মহম্মদ এহসান। বয়স বাইশ বছর। এছাড়াও সেই দলে রয়েছে আঠাশ বছরের মহম্মদ আফজাল এবং ২৩ বছরের মহম্মদ চাঁদ। এরা সকলেই পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে ২১ জন নাবালককে উদ্ধার করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খবর নিয়ে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ওই ২১ জন প্রত্যেকেই বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। তাদের সকলের পরিবারই দারিদ্র্য সীমার নিচে। অনেকেই ঠিক মত দু’বেলা খাবার খেতে পায় না। এদের প্রত্যেকটিই কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। প্রত্যেককে টাকার পাশাপাশি ভাল খাবারের প্রলোভনও দেখানো হয় বলে জানিয়েছে তারা। এদের মধ্যে অনেককেই প্রাথমিকভাবে কলকাতার বিভিন্ন চায়ের দোকানে কাজ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে টাকাও নেওয়া হয়। এছাড়াও নানাভাবে অত্যাচার করা হত তাদের।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যে কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এছাড়াও যারা সমাজের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ তাদের সমস্যার সবথেকে চরমে পৌঁছেছে। ফলত এই সমস্ত পরিবারের মানুষদেরকে পয়সার লোভ দেখিয়ে অপরাধমূলক কাজে নামানো খুবই সহজ বলে মনে করছে পুলিশ। এদিন উদ্ধার হওয়া প্রতিটি নাবালকেরই বাড়ির আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। যেকারণে এদেরকে ফুসলিয়ে আনাটা অপরাধকারীদের কাছে সবথেকে সহজ উপায়।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের নজর যখন অনেকটাই করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার দিকে, আনুষঙ্গিক এই অপরাধমূলক কাজগুলি সেই সুযোগে সহজেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ধৃত এই তিনজনকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও বড়সড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়েও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!