এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অন্য মন্তব্য রাজ্য কমিশনের হেভিওয়েটের, শুরু বিতর্ক

রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অন্য মন্তব্য রাজ্য কমিশনের হেভিওয়েটের, শুরু বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কার্যত রাজ্য সরকার কোণঠাসা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত রাজ্য সরকারের হাত থেকে দায়িত্ব নিয়ে হাইকোর্ট দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হাতে। বিশেষত হাইকোর্টের তরফ থেকে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে আর সেই কমিটিকে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কমিটি গঠন হওয়ার পর এবার অন্য কথা বললেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত। এবং তাঁর কথাতেই রাজ্য সরকার যে বেশ কিছুটা ভালো জায়গায় পৌঁছে যাবে, তা বলাইবাহুল্য।

জানা গিয়েছে, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁদের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে অভিযোগগুলি এসেছিল তার বেশিরভাগই দায়সারা। যে ক’টি অভিযোগকে যোগ্য মনে হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে প্রশাসনের জবাবদিহি চাওয়া হয়েছিল। যদিও মানবাধিকার কর্মী এবং রাজ্য এপিডিআর সহ সম্পাদক আলতাফ আহমেদ পুরো অন্য কথা বলেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী গোটা রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা চলেছে, বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে এই হিংসা মারাত্মক চেহারা নিয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাগুলি সামনে আনা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগাল এইড অথরিটির সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি গঠিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাজিব জৈন। এছাড়াও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও মহিলা কমিশনের সদস্যরাও আছেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কোভিডের কারণে সরকারি দপ্তর বন্ধ। একইভাবে কমিশনের অফিসও বন্ধ। সেক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য ও কর্মীরা অনলাইনে কাজ করছেন। জানা যাচ্ছে, অনলাইনে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রায় 50 থেকে 60 টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এতগুলি অভিযোগের মধ্যে শুধুমাত্র পাঁচ-ছটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অভিযোগকারীদের মধ্যে অনেকেই পাল্টা অনুযোগ করেছেন, তাঁদের অভিযোগ বহু জায়গায় নেওয়া হচ্ছেনা। যদিও সেক্ষেত্রে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনলাইনে অভিযোগ পাঠালে তা গ্রহণ করা হতো। এহেন পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সবথেকে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য হলো, ভোটের ফল ঘোষণার পর দু’চারদিন রাজ্য জুড়ে তীব্র রাজনৈতিক হিংসা দেখা গেলেও পরে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে।

এবং যেখানে রাজ্য বিজেপি থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপি, মায় রাজ্যপাল পর্যন্ত এমনকি হাইকোর্টের তরফ থেকেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ক্রমাগত রাজ্যকে বলে চলেছে, ঠিক সেসময় জাতীয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট বিতর্কিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় এলো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আপাতত হাইকোর্টের নির্ধারিত কমিশনের তদন্তের হাত ধরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোন নতুন তথ্য উঠে আসবে, সে দিকেই নজর এখন সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!