এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > আন্দোলন বিমুখ সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক দাপুটে নেতাকে বড়সড় পদ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তৃণমূল

আন্দোলন বিমুখ সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক দাপুটে নেতাকে বড়সড় পদ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তৃণমূল

তৃণমূলে সভাপতিই শেষ কথা। তাই দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদ না থাকলে যে দলকে অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তা বিভিন্ন জায়গায় টের পেতে শুরু করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে যেমন তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল, ঠিক তেমনই তৃণমূলকে ভরাডুবি দেখতে হয়েছিল জঙ্গলমহলের এলাকাগুলিতেও।

পুরুলিয়ায় তৃণমূলের পরাজয়ের পরই কিভাবে সেখানে সংগঠনের হাল-হকিকত ফেরানো যাবে, তা নিয়ে নানা পর্যালোচনা হয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচন থেকে নয়, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এই পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূলের পরাজয় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর সেই সময় পাড়া বিধানসভার রঘুনাথপুর 2 এবং পাড়া ব্লকের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতাদের বসিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যার জেরে সেই সেই দুটি ব্লক দেখভাল করতেন বিধায়ক এবং যুব নেতৃত্ব। কিন্তু এবার অবশেষে দলীয় নেতাকর্মীদের আবেদন অনুযায়ী এই দুটি ব্লকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করল তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, পাড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল জয়মল ভট্টাচার্যকে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা শিক্ষক গোকুলেশ্বর সাহা এবং কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকাশ মুখোপাধ্যায় ও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে রঘুনাথপুর 2 ব্লকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রানা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বরুণ মাহাতো এবং কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রভাস বাউরি এবং সন্দীপ মাহাতোকে। তবে প্রভাসবাবু অবশ্য তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। আর নতুন করে এই 2 ব্লকের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হওয়ায় তৃণমূল নেতৃত্বরা এখন অনেকটাই উৎসাহ পাবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিন এই ব্যাপারে রঘুনাথপুর 2 ব্লকের সভাপতির নতুন দায়িত্ব পাওয়া সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। দল যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করব। বুথস্তর থেকে নতুন করে সংগঠন গড়ে তোলা হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে এই ব্লকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া বরুন মাহাতো বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করে আসছি। সেখানে দল চেয়ারম্যানের মত বড় পদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করে দলকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করব।”

এদিকে নতুন দায়িত্ব পাওয়া নেতৃত্বদের পাশে সব সময় থাকা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরি। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রঘুনাথপুর 2 ব্লক এবং পাড়া ব্লকের সভাপতি তো দূরস্ত, কোনো ব্লক কমিটি পর্যন্ত ছিল না। তবে কমিটি না থাকলে যে কর্মীদের কাজ করতে অনীহার সৃষ্টি হয়, তা পরোতে পরোতে উপলব্ধি করেছিল নেতৃত্ব।

আর তাইতো এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে এই দুই ব্লকে কমিটি তৈরি করে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু নতুন দায়িত্ব পাওয়া নেতৃত্বরা এখন কাজ করে দলের সংগঠনের হাল-হকিকত ফেরাতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!