এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খড়গপুর উপনির্বাচনে চূড়ান্ত চমক দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন এই হেভিওয়েট নেতা!

খড়গপুর উপনির্বাচনে চূড়ান্ত চমক দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন এই হেভিওয়েট নেতা!


খড়গপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুইয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এই লড়াই প্রেস্টিজ ফাইটের থেকে কিছু কম ছিল না। কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক কারিশমা এবং ব্যক্তিগত ম্যাজিককে কাজে লাগিয়ে মেদিনীপুর লোকসভা আসনে শেষ হাসি হাসেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

রাজ্যে একদিকে যেমন বিজেপি আঠারোটা আসন লাভ করে, অন্যদিকে তেমনই দীলিপবাবু মেদিনীপুর সিটটি জেতাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভূত পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাই এবারে তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্য, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো।

কারণ দীলিপবাবুর ছেড়ে যাওয়া খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যদি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়যুক্ত হতে পারে, সেক্ষেত্রে মেদিনীপুরের পরাজয়ের বিষ কিছুটা হালকা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই খড়গপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের দামামা বাজার সাথে সাথেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে দিয়েছেন এখানকার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এলাকায় গিয়ে বাস উদ্বোধন থেকে শুরু করে, কলেজকে টাকা ডোনেশন করা ও সমগ্র উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করা থেকে শুরু করে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে মানুষের পাশে থেকে এলাকায় নিজেদের সংগঠনের বিস্তার করতে মন দিয়ে ফেলেছেন শুভেন্দুবাবু। অপরদিকে পিছিয়ে নেই দিলীপ ঘোষও। সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণের মধ্য দিয়ে তৃণমূল বিরোধী আবহাওয়া তৈরি করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি।

সবকিছু মিলিয়ে আগামী খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচন যে টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে যেতে চলেছে, সেই বিষয়ে সংশয় নেই কারোর মধ্যেই। তবে এই নির্বাচনে কার প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রয়েছে যথেষ্ট জল্পনা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবে, তাই নিয়ে অনেকগুলো নামই বিচার করছে রাজ্যের ঘাসফুল শিবির।

উৎসাহী কর্মীসমর্থকরা নিজের নিজের নেতাদেরকে দলীয় প্রার্থী করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট দিতে শুরু করে দিয়েছেন। যদিও দলীয় প্রার্থী কে হবেন, সেই নিয়ে কোনোরকম কথা চূড়ান্ত ভাবে জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারিভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরপরই প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব।

কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে দলীয় সূত্রে কারও নাম ঘোষণা করা না হলেও দলের মধ্যে গুঞ্জন স্পষ্ট, তৃণমূল এখানে অবাঙালি প্রার্থী করে অবাঙালি ভোটারদের মন জয় করতে উদ্যোগী হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন এক সময় কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী এবং ব্যারাকপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।

সেক্ষেত্রে অবাঙালি তথা বিশিষ্ট এই রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত কারিশমাও কিছুটা প্রকাশ পাবে এই এলাকার ভোটারদের মধ্যে। তবে সমস্ত জল্পনা কল্পনা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। দলনেত্রী যাকে বেছে নেবেন, তিনিই প্রার্থী হবেন। এই নিয়ে চর্চার কোনো প্রশ্ন নেই।”

যদিও এই নিয়ে সরকারিভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরে এখন এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।এখন কাকে প্রার্থী করবে তৃণমূল সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!