এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ডিভোর্স নয় এবার অন্য এক মামলার গেরোয় মেয়র ও পরিবার

ডিভোর্স নয় এবার অন্য এক মামলার গেরোয় মেয়র ও পরিবার


এতদিন ফেঁসে ছিলেন ডিভোর্স মামলায়। যদিও তার থেকে অব্যাহতি পাননি, এবার আবার নতুন মামলায় ফাঁসলেন মেয়র শোভন চট্টপাধ্যায়। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া ‘উকিল ভেড়ি’ বুজিয়ে জমি বিক্রিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলার জড়ালেন শোভনবাবু ও তাঁর স্ত্রী,ছেলে ও শ্যালক।
সূত্রের খবর,মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে,ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ছয় কাঠা জমি হস্তান্তর হয়েছে।এবং সেগুলি শোভনবাবু ও তাঁর স্ত্রী রত্নাদেবী ,শ্যালক দেবাশীষবাবু ,ছেলে সপ্তর্ষি-সহ পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে। তাছাড়া বাজার মূল্য যেখানে ১কোটি ৭০লক্ষ টাকা সেখানে তাঁদের মাত্র ১৫লক্ষ ৬৬হাজার টাকায় জমি দিয়েছে প্রমোটিং সংস্থা।পাশাপাশি অভিযোগ শোভনবাবু ও তাঁর পরিবার সেখানে প্লট কেনার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম ভেঙে রাজ্য বিদ্যুত্‍ বণ্টন সংস্থা বিদ্যুত্‍ সংযোগও দিয়ে দিয়েছে।সেই কারণেই শোভনবাবু ও তাঁর স্ত্রী,ছেলে,শ্যালককে মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য,যে প্রায় ৬০ বিঘা এলাকা জুড়ে থাকা এই ভেড়ির বড় অংশ বুজিয়ে জমি কেনার অভিযোগ উঠেছে সেই জলাভূমি ‘ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি”-র অধীনে এবং তা কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ।তার চেয়ারম্যান শোভন চট্টপাধ্যায়।যদিও ভেড়ির মালিকানা রয়েছে সুনীত মল্লিক চৌধুরীর নামে।উল্লেখ্য ,জলাভূমি ভরাট প্রক্রিয়া বছর তিনেক আগেই শুরু হয়েছিল।বিষয়টি নিয়ে এর আগে সুনীতবাবু জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা,প্রগতি ময়দান থানা ও হিডকো’র চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
মামলাকারী সুব্রত চট্টরাজের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টপাধ্যায় বলেন,”শোভন ,রত্না,সপ্তর্ষি,দেবাশীষ-সহ একাধিক ব্যক্তি সেখানে যে জমি কিনেছেন তার প্রমান আমরা আদালতে পেশ করেছি।” অন্যদিকে শোভনবাবুর আইনজীবী প্রীতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত বলেন,”মামলা সম্পর্কে এখনই কোনও মন্ত্যব্য করব না।মামলার নোটিস পেলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” রত্নাদেবীরর আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্তও একই কথা বলেছেন।যদিও এই নিয়ে এখনো রত্নাদেবী বা শোভনবাবুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগেও বেআইনি ভাবে জলাভূমি বোঝানোর জন্য শাস্তির নজির রয়েছে ।এবার খোদ মেয়রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!