ভিনরাজ্যের লোক ঢুকে ভোটকে প্রভাবিত করছে, ‘চিন্তিত’ তৃণমূলের বিস্ফোরক অভিযোগ বাঁকুড়ায় পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য April 28, 2019 বাঁকুড়া নিয়ে এমনিতেই চিন্তা ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের – এবার কি সেই চিন্তা রীতিমত দুশ্চিন্তায় পরিণত হল? জল্পনা বাড়ছে – কারণ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারিভাবে অভিযোগ জানাচ্ছে বাঁকুড়ায় নাকি ঝাড়খণ্ডের মত ভিনরাজ্য থেকে লোক ঢুকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া লোকসভা আসনটি একসময় সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়ার নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে গিয়েছিল, কেননা তিনি এই কেন্দ্র থেকে পরপর নবার সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল ঝড়ে এই কেন্দ্রে হয় ইন্দ্রপতন! তৃণমূল কংগ্রেসের মুনমুন সেনের কাছে হেরে যান বাসুদেব আচারিয়া। কিন্তু, তারপর থেকেই যেন এই কেন্দ্রে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের। বন্যার সময় সাংসদকে পাওয়া যায় না, চালু হয় নি জলপ্রকল্প – ফলে, পানীয় জল নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তো আছেই, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে এই অঞ্চলে কার রাজনৈতিক প্রভাব বেশি তা নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই কেন্দ্রে এবারে শাসকদলের প্রার্থী হিসাবে শোনা যাচ্ছিল একাধিক নেতার নাম – যার মধ্যে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল ছিল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা এক বিধায়ক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এক যুবনেতার নাম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই, এই কেন্দ্রে সাংসদের উপর ক্ষোভ যাতে ভোটবাক্সে না পরে তাই এখন থেকে গতবারের বিজয়ী সাংসদ মুনমুন সেনকে সরিয়ে দিতে হয়েছে তৃণমূলকে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। অন্যদিকে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে ‘বহিরাগত’ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল বলেও প্রচারে ঝড় তুলছে বিরোধীরা। ফলে, সামগ্রিকভাবেই বাঁকুড়া জুড়ে শাসকদলের উপর বেশ চাপ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাতে যেখানে ভোট হয়েছে – সেখানেই কিন্তু পদ্মশিবির পাপড়ি মেলার ইঙ্গিত দিয়েছে। সবথেকে বড় কথা পার্শ্ববর্তী বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দল ছেড়ে গিয়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর এত কিছু অস্বস্তির মাঝে কি তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমত ব্যাকফুটে? প্রশ্নটা উঠছে কারণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিসের আধিকারিকরা একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি তথা দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, জঙ্গলমহল সহ জেলার একাধিক ব্লকে ঝাড়খণ্ড সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে লোক ঢুকছে। তাঁরা ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। টাকা বিলি করে ভোট কেনার চেষ্টা চলছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। এব্যাপারে এদিন আমরা দলের তরফে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। যা শুনে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব মুচকি হেসে বলছে, এই আসনে ভোটের আগেই হেরে গেছে শাসকদল! তাই অবান্তর অভিযোগ আনছে – বাঁকুড়ায় এবার পদ্ম ফোটা সময়ের অপেক্ষা শুধু! আপনার মতামত জানান -