এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > কোনও ডিএম-এসপির তাকত নেই আমাকে গ্রেপ্তার করার! ভোটের আগে অনুব্রতর হুমকি

কোনও ডিএম-এসপির তাকত নেই আমাকে গ্রেপ্তার করার! ভোটের আগে অনুব্রতর হুমকি

আগামীকাল সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যেও চতুর্থদফার নির্বাচন। এদিন মোট আসনে ভোটগ্রহণ হলেও – সাধারণ মানুষের চোখ থাকবে মূলত দুটি আসনের উপরে – বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র। যে দুটি আসন কার্যত অনুব্রত গড় বলেই পরিচিত ছিল বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে বিরোধীদের দাবি সেই দুই আসনই নাকি তৃণমূলের হাতছাড়া হবে। আর তাই অনুব্রত মন্ডল পঞ্চায়েতের মত রাস্তায় উন্নয়ন বাহিনী দাঁড় করিয়ে এই দুই আসনে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন নাকি বীরভূমের রাজনীতিতে শুরু হয় নতুন কোনো সমীকরণ – সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আগামীকালের নির্বাচনে অনুব্রত মন্ডলকে বোতলবন্দি করায় যে কমিশনের কাছে বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। কেননা, কমিশন ইতিমধ্যেই পাঁচ-পাঁচবার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন এই নেতাকে। যা রাজ্যে তো বটেই সারা দেশেই কার্যত নজিরবিহীন। এমনকি দলীয় প্রচারে এসে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে বার্তা দিয়ে গেছেন। দলনেত্রীর নিদান ছিল, ওরা তোমার পিছনে লাগবে – তুমি একটু একটু চমকাবে, ধমকাবে – বাঘের বাচ্চার মত লড়াই করবে। কিন্তু, এত সহজে যে নির্বাচন কমিশন তাঁকে ‘বাঘের বাচ্চা’ হতে দেবে না তা স্পষ্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই বীরভূমের ১০০% বুথে কেন্দ্রিয়বাহিনী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তার উপরে আরও বড় সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত থাকছে ‘কুইক রেসপন্স টিমের’ সদস্য হিসাবে। যাতে, কোথাও গন্ডগোলের খবর পেলেই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তবে, অনুব্রত মন্ডল এখনও ‘নিজের মত’ ভোট করতে বদ্ধ পরিকর। তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আমি চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি – কোনও ডিএম, এসপির তাকত নেই আমাকে গ্রেপ্তার করার! ভোটের আগের দিন মুরারই থেকে সিউড়ি, খয়রাশোল চষে বেড়াব, ভোটের দিনও ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরে বেড়াব – পারলে আটকাবে!

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও অনুব্রত মন্ডলকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তিনি নির্বাচনের আগের দিন, বাড়ির পিছন দিয়ে বেরিয়ে রাতের বেলাতেই নিজের মত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুঁটি সাজিয়ে নেন। কিন্তু, এবারে কি হবে? অনুব্রতবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদিনটাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বুথে খোঁজ নেব, সব মাল সেখানে পৌঁছেছে কি না! ‘মাল’ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন – তা স্পষ্ট না করলেও, তা যে উন্নয়ন বাহিনীর সমার্থক ও সহায়ক কিছু – সেই আশঙ্কা করছেন সকলেই। ফলে, ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীদের কাছ থেকে অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে অনুরোধ গেছে। এখন দেখার আগামীকালের নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসেন – অনুব্রত মন্ডল নাকি নির্বাচন কমিশন?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!