এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি নির্দেশ এল হাইকোর্ট থেকে? তৃণমূল কি বড়সড় সমস্যায় পড়েছে?

কি নির্দেশ এল হাইকোর্ট থেকে? তৃণমূল কি বড়সড় সমস্যায় পড়েছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যখন রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা, ঠিক সেইসময় একের পর এক দুঃসংবাদ তৃণমূল শিবিরের জন্য। এক তো তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেন। এরপরের দুঃসংবাদ পুরুলিয়ার জয়পুর আসনের প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় শুধুমাত্র তারিখ ভুল হবার কারণে। যথারীতি রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। অনেকেই বলতে থাকেন লড়াই শুরু হওয়ার আগেই পিছিয়ে গেল তৃণমূল। কিন্তু না, লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়লো না বরং বলা ভালো পরেরদিন লড়াইতে আবার ফিরে এলো তৃণমূল।

যে পুরুলিয়া জয়পুর আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল, সেই মনোনয়নপত্রে সীলমোহর দিল এবার হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়ে। কার্যত বুধবার দিনভর এই নিয়ে টানাটানি চলে। নির্বাচন কমিশন তাঁদের ওয়েবসাইটে জয়পুর বিধানসভার তালিকা যখন রাতে আপলোড করে  তখনই দেখা যায় উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়নপত্র রিজেক্ট হয়ে গিয়েছে। এবং সেখানেই বলা হয় তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নের হলফনামার তারিখ ভুল ছিল, যে কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যথারীতি জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ত্বের সবাই হতাশায় ডুবে যান। শুরু হয়ে যায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে আলোচনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় তৃণমূলের তরফ থেকে। এরপর পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের করা আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি সব্য্যসাচী ভট্টাচার্য আজকের রায় দেন। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, মনোনয়নে যে ত্রুটি থাকার কথা বলা হচ্ছে, তা অতি নগণ্য। এর কারণে কোনরকম মনোনয়ন বাতিল হতে পারেনা। পুরনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। যথারীতি হাইকোর্টের নির্দেশ পুরুলিয়া জয়পুর তৃণমূল শিবিরে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নব্যেন্দু মাহালি হাইকোর্টের এই রায়কে বড় জয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

মনে করা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশে তৃণমূল কর্মীরা আবার তাঁদের হারানো উৎসাহ ফিরে পাবে। তবে কমিশন হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করে নাকি অন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় এখন সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের। তবে মনে করা হচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল শিবিরের কাছে গতকাল কেটেছে অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু আজকের হাইকোর্টের এই রায় স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল শিবিরে আশার আলো জাগালো বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!