এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ”কিছু কিছু লোক আছে, যারা শুধু ঘেউ ঘেউ করে ঘুরে বেড়ায়!” বিরোধীদের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর!

”কিছু কিছু লোক আছে, যারা শুধু ঘেউ ঘেউ করে ঘুরে বেড়ায়!” বিরোধীদের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে তৃণমূল সরকারের দিকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি রাজ্যে দুটি দুর্নীতি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রথমটি রেশনিং দুর্নীতি এবং তারপর আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি। বিরোধী দল এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করে। সাধারণ মানুষকেও দেখা যায় প্রতিবাদ করতে। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং রাজ্যজুড়ে শুদ্ধিকরণ শুরু করেন। যদিও তাতে কতটা কাজ হয়েছে তা যথেষ্ট সন্দেহের।

তার কারণ রাজ্যে আবারও ধরা পড়েছে নতুন একটি দুর্নীতি। জানা যাচ্ছে, করোনা চিকিৎসার জন্য গত কয়েক মাসে যেসব সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তাতে ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি চলেছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও এই ঘটনার কথা গেছে এবং তিনি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বিরোধীদের কটাক্ষ তাতে বন্ধ হয়নি বরং আরও জোরালো হয়েছে। আর এই নিয়ে এবার নবান্ন থেকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি।

নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে।কিন্তু তার সাথেই তিনি জানিয়ে দেন, অর্থ দপ্তরকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ জায়গায় তিনি বাম জমানার সঙ্গে তৃণমূল জমানার তুলনা টেনে জানিয়ে দেন, স্বচ্ছতার দিক থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আছে তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সাধারণ মানুষ কোন অভিযোগ করলে তা রীতিমতো খতিয়ে দেখে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

একইভাবে যেসব অফিসারদের বিরুদ্ধে করোনার সরঞ্জাম কেনার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সে অভিযোগও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এ প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কটাক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন করোনার সরঞ্জাম কেনার প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি কেনাকাটার বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয় এমনকি অর্থ দপ্তরের নিজস্ব অডিট প্রতিটি পদক্ষেপ নজর রাখে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কোভিডের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা রেখেই কাজ হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এই রাজ্যে যেভাবে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয় তা অন্য কোথাও হয়না বলে দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছুদিন আগে আইসিএমআর এর কেনা করোনা পরীক্ষার কিট ফেরতের ঘটনারও উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, পিএম কেয়ার নিয়েও তিনি যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন এদিন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত না হলেও দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত বা পরিষদীয় তদন্ত কমিটি গড়া যেতেই পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কোন কারণ থাকার কথা নয়।

অন্যদিকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনা সরঞ্জাম কেনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু এবার নিজেই যখন জানিয়ে দিলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ভক্ষকের হাতেই রক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন বাম সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বাম সরকারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ থাকলেও তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি আজ পর্যন্ত।

অন্যদিকে এদিন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন তার কাছে দুর্নীতির সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্নীতি নিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট চাপের মুখে তৃণমূল সরকার। আগের দুটি দুর্নীতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট কড়া হাতে মোকাবিলা করেন। কিন্তু একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি তৃণমূল সরকারকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!