এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কবিগুরুকে নিয়েও “আমরা- ওরার” বিভাজন! রাজনৈতিক তরজায় হতবাক সাহিত্যজগত!

কবিগুরুকে নিয়েও “আমরা- ওরার” বিভাজন! রাজনৈতিক তরজায় হতবাক সাহিত্যজগত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক তরজা এবং হাতাহাতি। যা দেখে রীতিমতো নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে সাহিত্য জগতের মধ্যে। জানা গিয়েছে, খড়দহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধার মুখে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। আর এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। যেখানে বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক এবং বাহক কবিগুরু, সেখানে তার মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়েও কেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাকবিতণ্ডা তৈরি হবে, কেনই বা তা নিয়ে একটা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি হবে, এখন তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিদ্বজ্জনেরা।

সূত্রের খবর, এদিন খড়দহের শ্যামসুন্দর ঘাটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করতে আসেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। তার সঙ্গে অনেক বিজেপি কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই এই বিষয়ে সরব হন বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “চুড়ান্ত অসভ্য একটা রাজনৈতিক দল। আজকে চাইলেও আমরা এখানে কোনো অশান্তি করতে পারতাম। শুধু রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা দেব পরিষ্কার করতে এসেছি। আজকে বিভিন্ন জায়গায় মহাপুরুষদের মূর্তি পরিষ্কারের বিষয় রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যত এই অসভ্যতা করবে, মানুষ তত এই অসভ্যতা জানতে পারবে। মালা দিতে পারলাম না। কেড়ে নিল। কিন্তু নমস্কার করেছি। মহাপুরুষদের উদ্দেশ্যে আজকে আমাদের এই কার্যক্রম বাংলা বাঁচাও আন্দোলন চলছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সংস্কৃতিপ্রেমী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বারবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার সংস্কৃতির অঙ্গ বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও রবি ঠাকুরের জন্মদিন এবং প্রয়াণ দিবসের দিনে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের রবি ঠাকুরের গলায় মালা দিতে গেলে বাধা দেবে? এটা কোন সংস্কৃতির পরিচয়? কেন এভাবে বিজেপি নেতাদের রবি ঠাকুরের মূর্তিতে মালা দিতে বাধাদান করা হল?

তাহলে কি রবী ঠাকুরকে নিয়েও শুরু হয়ে গেল আমরা-ওরার বিভাজন? এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন এই ব্যাপারে খড়দহ যুব তৃনমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, “আজ রবীন্দ্রনাথের কোনো অনুষ্ঠান নেই। ওনারা এখানে শুধু শুধু এসেছেন এবং শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার জন্য এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কোনো জায়গা হবে না।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!