এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য বড়সড় সুখবর! FSDL-এর নয়া পদক্ষেপে খুলে যেতে চলেছে ISL-এর দরজা!

লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য বড়সড় সুখবর! FSDL-এর নয়া পদক্ষেপে খুলে যেতে চলেছে ISL-এর দরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শেষমেশ ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টারদের জন্য সুখবর। আইএসএলে এবার ইস্টবেঙ্গল যে খেলতে পারবে, তা বোঝাতেই নতুন করে বিড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল আইএসএল। তবে সেটা যে শুধু ইস্টবেঙ্গলের জন্যই সেটা নিশ্চয়ই আলাদা করে বলে দিতে হবে না। আইএসএলে নতুন দল নিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দিল্লি, লুধিয়ানা, আমেদাবাদ, কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং ভোপাল– এই ছ’‌টি শহর থেকে একটি দলকে আইএসএলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এই মাসের ১৪ তারিখ বিড পেপার জমা দেওয়ার শেষ দিন। সুতরাং দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলের যে আর কোনও বাধা রইল না, সেটাই ফাইনাল হয়ে গেল। তবে খুব তাড়াতাড়ি আইএসএলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

আসলে কথা হল, খেলা সম্প্রচাকারী চ্যানেলগুলি হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিদের কাছে আসল। এর কারণ হিসেবে উঠে আসে সেই দর্শকদেরই কথা। মানে যত সংখ্যক দর্শক খেলা দেখবে, ততটাই টিআরপি বাড়বে। তাই দর্শক টানাটাই আসল। দর্শক সংখ্যা বাড়লে তাই নিতা আম্বানি সহজেই খেলার সম্প্রচারকারী চ্যানেলগুলির উপর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার জন্য দাবি করতে পারবেন। আর সেই জন্যই মূলত দর্শকদের প্রয়োজন। সেই দর্শক টানতেই ইস্টবেঙ্গলকে শেষ মুহূর্তে খেলায় নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ মোহনবাগানের আইএসএলে যোগ দেওয়ার পর, সেখানে যদি ইস্টবেঙ্গল থাকে, তাহলে দু কোটি দর্শক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশা করা যায়। যা অনেকটাই। তাই এটাই আসল কথা বলেই মনে করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোয়েস চলে যাওয়ার পর অনেকদিন থেকেই ইনভেস্টর খুঁজছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষে যখন সেটা ঠিক হয়, তখন ইতিমধ্যেই আইএসএলে খেলার সময়সামী পার হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা এতদিন বসে ছিলেন ভাল ইনভেস্টর পাওয়ার আশায়। আর সেই সমস্যা মেটাতে তখন মাঠে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর পাশাপাশি বিসিসিআই কর্তা সৌরভ গাঙ্গুলিরও অবদান রয়েছে। কারণ সবশেষে সৌরভ গাঙ্গুলির কথাতেই নাকি ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে নিতে রাজি হয় FSDL।

ব্যাপারটা হয়, আগে থেকেই FSDL সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ভাল সম্পর্ক ছিল না। তারা শুরু থেকেই বলে এসেছিলন যে ১৫ কোটি টাকা না দিলে ইস্টবেঙ্গলকে নেওয়া যাবে না। অন্যদিকে ওই বৃহৎ অঙ্কের অর্থ ক্লাব দিতে চায়নি। এই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নাকি বিষয়টি দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সৌরভ গাঙ্গুলী আসেন। তিনি মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর ছেলে আকাশ আম্বানির সঙ্গে ফোনে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলায় অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে কথা বলেন বলে জানা যায়। পরে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নীতা আম্বানির সঙ্গে এবং এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শেষমেশ সব ঠিকঠাক হয়। এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য দেবব্রত সরকার বলেন, তাঁরা নিয়ম মেনে চিঠি দিয়েছেন। তাই আর কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। সুতরাং সব দুশ্চিন্তা মুছে ফেলে এবার টিভির সামনে নিজের পছন্দের দলের জন্য গলা ফাটানোর আর বেশি দেরি রইলো না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!